ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মাশরাফি, জামাল ও কৃষ্ণা

ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা, ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল হ্যারিস ভূঁইয়া এবং নারী ফুটবল দলের ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার।

ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা ও গণিত (স্টিম) বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী ও উদ্ভাবনী প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য কাজ করছে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড। এবার এ উদ্যোগের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনের শ্রেষ্ঠ তারকারা।

ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল হ্যারিস ভূঁইয়া বলেন, ‘ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড ২০২৩ সালের এমন সম্মানজনক এক প্রতিযোগিতার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে পেরে সত্যিই আমি গর্বিত। এখানে প্রযুক্তি, গণিত, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টস থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে। তরুণ মেধার বিকাশে এমন এক আয়োজনে আমরা সবাই যুক্ত হই এবং নতুন কিছু সৃষ্টি করি যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে পরিচিত করে তুলতে পারব আমরা। স্টিম অলিম্পিয়াডের সঙ্গে আমরা সবাই যুক্ত হই।’

ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরদের নিয়ে আরও তথ্য দেওয়া আছে বলে জানান আয়োজকেরা। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করতে পারেন:

তরুণদের উদ্ভাবন ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সংস্কৃতি গড়ে তোলার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও আই-টেসারেক্ট টেকনোলজির উদ্যোগে ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীরা মোট আটটি বিভাগে এই অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

জুলাই মাসে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির উপস্থিতিতে উদ্বোধন হয় স্টিম অলিম্পিয়াডের রেজিস্ট্রেশন। এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৪৮৯ শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে। ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীরা মোট আটটি বিভাগে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অংশগ্রহণ করতে তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে https://nationalsteamolympiad এ লিংকে লগইন করে। এই ওয়েবসাইটে মিলবে বিস্তারিত তথ্য। রেজিস্ট্রেশনের জন্য রয়েছে আর মাত্র ১৪ দিন।

এ অলিম্পিয়াডে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য রয়েছে ‘প্রজেক্ট’ভিত্তিক প্রতিযোগিতা। চ্যাম্পিয়নদের জন্য প্রাইজমানি হিসেবে রয়েছে ২ লাখ টাকা পুরস্কার। প্রথম রানার্সআপ ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হিসেবে প্রাইজমানি রয়েছে যথাক্রমে ১ লাখ ও ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া থাকছে বিনা মূল্যে আই-ট্রেজারেক্টের কোর্স সার্টিফিকেট ও অন্যান্য সুবিধা।

অন্যদিকে অলিম্পিয়াড কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে চ্যাম্পিয়নের জন্য থাকছে ৫০ হাজার টাকার প্রাইজমানি, প্রথম রানার্সআপের জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার্সআপের জন্য ২০ হাজার টাকা পুরস্কার। এ ছাড়া সার্টিফিকেট ও আই-ট্রেজারেক্টের কোর্সসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন তাঁরা।

প্রতিযোগীদের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি, কলেজের শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। তাঁদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বিষয় হিসেবে রয়েছে—আইসিটি এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি, ব্লকচেইন এবং ক্লাউড কম্পিউটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টস ও ক্রাফটিং, এআই, রোবোটিকস ও বিগ ডাটা, বিজ্ঞান, গণিত ও টেকনোলজি।

এ আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিতে দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমাদের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধাকে কাজে লাগানোর উপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি বাস্তব জীবনের কার্যক্রম এবং পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতা হাতে–কলমে অর্জন করার সুযোগ পেতে পারে, সে লক্ষ্য পূরণে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের আয়োজন একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ও স্টিম অলিম্পিয়াডের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নের উপযোগী করে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের হাতে–কলমে ব্যবহারিক শিক্ষার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্টিম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টস, ম্যাথমেটিকস) শিক্ষার বিকল্প নেই।