গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে ডিইউসিএসের ‘পশর নদীর বাঁকে’
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩’-এর মঞ্চে গত বুধবার মঞ্চস্থ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ’-এর পরিবেশনা গীতিনৃত্যাভিনয় ‘পশর নদীর বাঁকে’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, নৃত্যকলা ও আবৃত্তি মিলনায়তনে রাত আটটায় মঞ্চস্থ হয় পরিবেশনাটি।
দেবজ্যোতি বিশ্বাসের গ্রন্থনা ও দীপ্ত সেনের নির্দেশনায় গীতিনৃত্যাভিনয়টির সহনির্দেশনা ও নৃত্য পরিকল্পনা করেছেন অদ্রি দাস দ্যুতি, আবহসংগীত পরিকল্পনায় ছিলেন অর্ঘ্য প্রতীম সরকার, সেট ও প্রপস ডিজাইন করেছেন তালহা জাহান প্রান্ত এবং পোশাক পরিকল্পনায় কাজ করেছেন রওনক জাহান রাকামনি।
‘পশর নদীর বাঁকে’র গ্রন্থকার দেবজ্যোতি বিশ্বাস বলেন, ‘এটি একটি গ্রামের গল্প, যেখানকার লোকজন জীবিকার জন্য সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। এই প্রযোজনার মাধ্যমে সমাজে নিম্নবিত্তদের ওপর উচ্চবিত্তদের শোষণ-বঞ্চনা ও ক্ষমতার প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া মানুষের জীবনের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বনবিবি, বাঘবিধবাসহ সুন্দরবন অঞ্চলের বিভিন্ন সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে এ গল্পের মধ্য দিয়ে।’
প্রযোজনাটির প্রধান নির্দেশক দীপ্ত সেন বলেন, ‘সুন্দরবনের পশর নদীর কোলঘেঁষা গ্রামীণ মানুষের নিত্যদিনের জীবনগাথা, প্রকৃতি ও শোষকের সাথে তাদের লড়াই, সুখ-দুঃখ, প্রেম ও বিরহের এক চমৎকার মেলবন্ধনকে দর্শকদের কাছে তুলে ধরলও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ তৃতীয়বারের মতো এ সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে জানিয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অনিক ধর বলেন, গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব দুই বাংলার সংস্কৃতিকর্মীদের মিলনমেলা।
৬ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া উৎসব চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত, যাতে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ ও ভারতের শতাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও সাউথইস্ট ব্যাংকের সহযোগিতায় উদ্যাপিত হচ্ছে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৩। বিজ্ঞপ্তি