পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বিরল সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) অন্তর্ভুক্ত স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিম-এর আওতায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ‘উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা’ শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রাবেয়া খাতুনের সভাপতিত্বে কর্মশালার বিষয়বস্তু ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন বিরল সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনজুরুল হাসান (দুলু)। বিশেষ অতিথি বিরল সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ কর্মশালার সফলতা কামনা করে দেশের উন্নয়নে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের করণীয় বিষয়ে কথা বলেন। বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফসানা কাউছার পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি পাঠ্যবই–বহির্ভূত বই পড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এমন মহৎ উদ্যোগের সফলতা কামনা করেন।
কর্মশালার দ্বিতীয় অধিবেশনে আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ কুরাইশী, টিম ম্যানেজার, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’ পরিচালনা পদ্ধতি ও পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম পরিচিতি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’ পরিচালনা পদ্ধতির আলোচনা শেষে কর্মসূচি সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের মতামত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে ২০২৩ সালে কর্মসূচি বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনা সভায় উপস্থাপন করা হয়।
কর্মশালায় স্কিমভুক্ত ৫৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিষ্ঠান–প্রধান এবং সংগঠক (সহকারী শিক্ষক/গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) মোট ১১৩ জন অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের সবাইকে একটি করে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির নোট বই, কলম, অনুষ্ঠানসূচি, ২০২৩ সালের কার্যক্রমের কর্মপরিকল্পনা ও পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মুদ্রিত কপি প্রদান করা হয়। কর্মশালা আয়োজনের যাবতীয় ব্যয়ভার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় বিরল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রাবেয়া খাতুন শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে কোভিডের কারণে দীর্ঘদীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যেসব শিক্ষার্থী ছিটকে পড়েছে, তাদের দ্রুত ফেরানোসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পড়ার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা সভা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, দেয়াল পত্রিকা তৈরি ইত্যাদি আয়োজন করার পরামর্শ দেন। সভাপতি কর্মশালায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য সব অংশগ্রহণকারীকে আহ্বান জানান এবং কর্মশালা আয়োজনের জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানান।