রজতজয়ন্তীতে গণ বিশ্ববিদ্যালয়
আজ ১৪ জুলাই সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পথচলার গল্পই তুলে ধরব।
১৯৯৮ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২৪ বছরের পথচলায় গবি লক্ষ্য অর্জনে অনেকটাই এগিয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসছেন। ৩২ একর জায়গাজুড়ে সবুজ ক্যাম্পাস আপন করে নিয়েছে সবাইকে।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটককে বলা হয় জ্ঞানের প্রবেশদ্বার। বাইশ মাইলে নির্মিত এ ফটকে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে যাদের অবদান। ফটক দিয়ে প্রবেশের আগে দেশপ্রেমীদের নজর কাড়বে এর স্থাপত্যশৈলী। গবির আরেকটি ফটকে দেশের বরেণ্য ১১ জন নারীর ছবি স্থান পেয়েছে। বেসরকারি এ শিক্ষাঙ্গনে রয়েছে আলাদা একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ভর্তি কার্যালয়, জিমনেশিয়াম ও ক্যাফেটেরিয়া৷ এ ছাড়া রয়েছে দুটি সুবিশাল খেলার মাঠ, বাস্কেটবল কোর্ট, টেনিস কোর্ট। বর্তমানে ৪টি অনুষদে ১৪টি বিভাগে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
শিক্ষাঙ্গনে রয়েছে শিক্ষার্থী পরিচালিত মোট ১৮টি সংগঠন। এর মধ্যে ছাত্র সংসদ, সাধারণ ছাত্র পরিষদ, ডিবেটিং সোসাইটি, অগ্নিসেতু, শুভ সংঘ, বৃন্ত, সাংবাদিক সমিতি, ফটোগ্রাফিক সোসাইটিসহ রক্তদানকারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অন্যতম। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সহশিক্ষা কার্যক্রমে প্রাণবন্ত থাকে নব্বই দশকের এই বিশ্ববিদ্যালয়।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের গৌরবগাথা নিয়ে ২৫ বর্ষে পা রাখছে আমাদের প্রাণপ্রিয় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কোভিড-১৯ আক্রান্ত পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টেকসই উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, শিক্ষার্থী উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।’