ঢাবির মঞ্চে ‘ক্রিয়েটিভ ক্যুলটুরা’র প্রথম প্রযোজনা ‘এফিগিনিয়া’

ছবি: সংগৃহীত

‘আবাদ করলে ফলবে সোনা’—এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে প্রথম প্রযোজনা ‘এফিগিনিয়া’ মঞ্চায়নের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন থিয়েটার দল ‘ক্রিয়েটিভ ক্যুলটুরা’।

জার্মান নাট্যকার উলফ্গ্যাঙ ফন গ্যোটের রচনা এবং মামুন হকের অনুবাদ ও নির্দেশনায় নাটকটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে সন্ধ্যা সাতটায় মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে।

ছবি: সংগৃহীত

নাটকটিতে অভিনয় করেছে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম সায়ান, মো. তানভীর আহম্মেদ, প্রণব রঞ্জন বালা, মুনিরা মাহজাবিন মিমো, জিনিয়া ইসলাম, বিজয় চন্দ্র সিংহ, মো. বখতিয়ার খলজি হাশর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম একশনের (ডুমা) সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।

নাটকটি সম্পর্কে জানা যায়, ‘টাউরিস দ্বীপে এফিগিনিয়া’ ওয়েমার ক্ল্যাসিক্যাল সময়ের (১৭৮০-১৮০০) একটি গুরুত্বপূর্ণ নাটক। ১৭৭৯ সালে গ্যোটে প্রথমবার নাটকটি রচনা করেন। পরবর্তী সময় ১৭৮৭ সালে তিনি আবার ‘ব্ল্যাঙ্ক ভার্সে’ নাটকটি লেখেন। এফিগিনিয়া একজন আদর্শ মানুষের চরিত্র এবং এই আদর্শিক চরিত্রের ইমানুয়েল কান্টের ‘আইডিয়ালিজম’র সংযোগ রয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

নাটকটিতে দেখা যায় যে পিতার বলির তরবারি নিচ থেকে বাঁচিয়ে এফিগিনিয়াকে টাউরিস দ্বীপে নিয়ে আসেন দেবী ডায়না। সেই থেকে টাউরিস দ্বীপে দেবী ডায়নার ধর্মযাজক হিসেবে কর্মরত আছেন এফিগিনিয়া। নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় তিনি।

এদিকে টাউরিসের রাজা থোয়াস এফিগিনিয়ার কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে বিবাহের প্রস্তাব জানান তিনি। একই সময় সেই দ্বীপে আগন্তুকের বেশে প্রবেশ করেন এফিগিনিয়ার ভাই অরেস্ট ও ফিলাডেস। টাউরিসের আইন অনুযায়ী তাদের বলিদানের আদেশ প্রদান করেন রাজা। পরে তাদের বলিদান রদ করা হয় এবং এফিগিনিয়া তার ভাইদের সঙ্গে মাতৃভূমি আর্গসে ফিরে যান।