‘বিজয়ফুলের আড্ডা’ অনুষ্ঠিত

গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় রাজধানীর গুলশানে ‘বিজয়ফুলের আড্ডা’ অনুষ্ঠিত হয়। আড্ডায় অংশ নেন বিজয়ফুল কেন্দ্রীয় কমিটি ও বাংলাদেশ অংশের কর্মীরা।
ছবি: সংগৃহীত

‘বিজয়ফুলের আড্ডা’ রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত হয়েছে গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায়। আড্ডায় অংশ নেন বিজয়ফুলের কেন্দ্রীয় ও বাংলাদেশ অংশের কর্মীরা।

আড্ডার শুরুতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও লেখক সেলিম জাহান বলেন, বিজয়ফুল শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। বিজয়ফুলে রয়েছে পাঁচটি পাপড়ি। প্রতিটি পাপড়ির রয়েছে একটি গুরুত্ব। লন্ডনে বিজয়ফুলের যাত্রা শুরু হলেও এখন বাংলাদেশসহ অনেক দেশে ডিসেম্বরের ১ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত পালিত হয়। বিজয়ফুল কর্মসূচি নিয়ে তিনি অনেক সুখকর স্মৃতিচারণা করেন। কর্মসূচির ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি আরও বলেন, এই কর্মসূচি স্থায়ীকরণের জন্য একটি কাঠামো জরুরি। ভবিষ্যতে এটা হলে আরও বিস্তৃত করা সম্ভব হবে।

হাতিল ফার্নিচারের পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বিজয়ফুলের এ উদ্যোগকে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ উদ্যোগের সঙ্গে সব সময়ে আছি।’

এ ছাড়া আড্ডায় ‘বিজয়ফুল’ আরও কীভাবে প্রসারিত করা যায়, সেই নিয়ে আলোচনা করেন আলোক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা রাশেদা নাসরীন, লেখক নীরু শামসুন্নাহার, মুক্ত আসরের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবু সাঈদ, বিজয়ফুলের নুরুজ্জামান দেলোয়ার, লেখক সুমন আহমদ, তাসলিমা বেগম, মাহবুব আলী খান, সমাজকর্মী রাহে মদিনা কারী, কাব্যকলা আবৃত্তি সংগঠনের মুনা চৌধুরী, জুলহাস উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, সাইফুর রহমান, স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশনের প্রধান নির্বাহী রাজিয়া সুলতানা ঈশিতাসহ প্রমুখ।

আলোচনার পর ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’ গানটি পরিবেশ করেন আলোক স্কুলের শিক্ষক মিজানুর রহমান, শাওলিন আখতার ও রিয়াদ তালুকদার।

সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজয়ফুলের নতুন বছরের আড্ডা শেষ করেন বিজয়ফুলের অন্যতম উদ্যোক্তা কবি শামীম আজাদ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষক ও গবেষক গওহার নঈম ওয়ারা।