আমাদের কুয়াশা উৎসব
‘হারাবার আগে পায়ে মাখো শিশির, কুয়াশার মাঠে বাড়ুক প্রাণের ভিড়’ স্লোগানকে সামনে নিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুই দিনব্যাপী কুয়াশা উৎসব। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শুরু হয়ে কুয়াশা উৎসব চলে ১১ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত। এবারের কুয়াশা উৎসব-১৪৩০ উৎসর্গ করা হয় ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’র শতবর্ষ উদ্যাপনকে।
উৎসবকে কেন্দ্র করে শীতের আবহকে দেওয়া হয়েছিল গ্রামীণ রূপ। গ্রামবাংলার লোকসংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। ফুটিয়ে তোলা হয় গ্রামীণ পরিবেশ, গ্রামীণ ঐতিহ্য।
বর্ণিল এই আয়োজন জুড়ে চিত্রকলা, চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, রম্য বিতর্ক, আবৃত্তি, নাট্য পরিবেশনা, রাগসংগীত, যন্ত্রসংগীত, সাহিত্য আলোচনা, নৃত্য পরিবেশনা, রস উৎসব, পিঠাপুলিসহ নানা আয়োজন ছিল।
মূলত গ্রামবাংলার লোকজ উৎসবগুলোর তাৎপর্যকে ধারণ করা এবং শীতের সৌন্দর্যকে তুলে ধরতে ব্যতিক্রমী ও বিচিত্রধর্মী এই কুয়াশা উৎসব কয়েক বছর ধরে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলতেই এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করা হয়ে থাকে। উৎসবকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ।
*লেখক: মো. মিলন হোসেন, শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।