গ্রহস্বরের আয়োজনে ‘বর্ষে বর্ষে রবীন্দ্র-নজরুল’
গত ৩১ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন অতিথি রাজধানীর মিরপুরের তালতলায় অবস্থিত কুশলী ভবনের অষ্টম তলার মিলনায়তনে উপস্থিত হন। চা-চক্র চলে। অনুষ্ঠান শুরু হয় সাড়ে ৭টায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মরণে ‘বর্ষে বর্ষে রবীন্দ্র-নজরুল’ সংগীতানুষ্ঠান। আয়োজন করে বিশিষ্ট নজরুলসংগীতশিল্পী ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ফাতেমা তুজ জোহরার সংগঠন ‘গ্রহস্বর’।
সাতটা বাজতে বাজতে চলে এলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। গ্রহস্বরেরও প্রধান উপদেষ্টা তিনি। ২২ মিনিট পর গতানুগতিক নিয়মে অনুষ্ঠান শুরু না হয়ে সরাসরি শুরু হয়ে যায়। শিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা প্রতিমন্ত্রীকে আহ্বান জানালেন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার জন্য। প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে আমার বক্তব্য দেওয়ার কিছু নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম ছাড়া বাঙালি সমাজের জীবনযাত্রা চলে না। তাঁদের স্মরণে এই আয়োজন। “গ্রহস্বর” এগিয়ে যাক।’
‘শূন্য এ বুকে পাখি মোর আয় ফিরে আয় ফিরে আয়’ গানের মাধ্যমে শুরু হয় রবীন্দ্র–নজরুলের গানের আয়োজন। চলতে থাকে রাত ৯টা পর্যন্ত। সংগীত পরিবেশন করেন ফাতেমা তুজ জোহরা, প্রদীপ কুমার নন্দী, উন্মে রুমা ট্রফি, ইশরাত জাহান, শাহিনা পারভীন, লতিমা ইয়াসমিন, পরশ চন্দ্র পাল, উজান প্রমুখ।
প্রতিটি গান দর্শকদের হৃদয়ে ছোঁয়া যেতে লাগে। দারুণভাবে উপভোগ করতে থাকে সবাই। শেষ গানে যেন শেষ হতে চায় না। গ্রহস্বরের সবার প্রাণের উচ্ছ্বাসে উদ্যাপিত হলো রবীন্দ্র–নজরুল জন্মজয়ন্তী।
*নাগরিক সংবাদে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]