পার্কে ঘুরতে গেলে পড়তে পারবেন বাংলা বই
পার্কে ঘুরতে গিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যদি ক্লান্তি ভর করে, মন চায় একটু জিরিয়ে নিতে, কেমন হবে যদি সেই পথেই পেয়ে যান ছোট্ট একটি পাঠাগার, পছন্দের কিছু বাংলা বই। কিছুটা সময়ের জন্য জিরিয়ে নিতে এর চেয়ে সুন্দর আর কীইবা হতে পারে?
এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজধানীর গুলশানের রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ পার্কে। সেখানে চালু করা হয়েছে দুটি বুক গ্যারেজ বা পথ পাঠাগার। পার্কে ঘুরতে যাওয়া দর্শনার্থীরা চাইলে সেখান থেকে পছন্দের বাংলা বই বেছে নিয়ে নিজের মতো সময় কাটাতে পারেন। এ জন্য গুনতে হবে না কোনো অর্থ।
৯ সেপ্টেম্বর এই দুটি পথ পাঠাগার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রো ইয়োর রিডার ফাউন্ডেশন। সহায়তায় রয়েছে গুফি।
গ্রো ইয়োর রিডার ফাউন্ডেশন স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশের প্রতিটি সড়কে–পার্কে এমন একটি করে পথ পাঠাগার থাকবে, যেখান থেকে নিয়ে বই পড়তে পারবেন যে কেউ।
গ্রো ইয়োর রিডার ফাউন্ডেশন ও গুফি বাংলাদেশ গুলশানের এই পার্কে প্রথম পথ পাঠাগার চালু করেছে।
স্ক্রিন বা পর্দার প্রতি আসক্তি এবং ডিজিটাল বিভ্রান্তির এ সময়ে আনন্দের সঙ্গে শিশুদের মাতৃভাষার প্রতি আগ্রহী করে তোলা ও নিজস্ব ভাষা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে সংযোগ তৈরি করা এ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।
পার্কের ভেতরে নর্থ এন্ড কফি শপ এবং কিডস জোনের উল্টো পাশে স্থাপন করা পথ পাঠাগার দুটি সহজেই যে কারও নজর কাড়বে। যে কেউ যেকোনো সময় এখানে বই পড়ার আনন্দ নিতে পারবেন।
এখান থেকে শিশু–কিশোরেরা বাড়িতে বই নিয়ে যেতে পারবে। পড়া শেষে ফেরত দিয়ে যেতে হবে।
গ্রো ইয়োর রিডার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাদিয়া জাফরিন বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য একদম পরিষ্কার।
বাংলা বইয়ের প্রতি মানুষের ভালোবাসা গড়ে তোলা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা, বিস্মৃত বইগুলো নতুন করে পড়ার সুযোগ তৈরি করিয়ে দেওয়া। এ ছাড়া পাঠকগোষ্ঠী গড়ে তোলা, দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে অন্যের প্রতি সহানুভূতি ও সম্মান তৈরি করা, পার্কে বেড়াতে আসা যেকোনো বয়সী পাঠকের জন্য উপযোগী পাঠ পরিবেশ গড়ে তোলা এবং বিনা মূল্যে পাঠকদের বই পড়ার সুযোগ তৈরি করতে চাই আমরা।’
সাদিয়া জাফরিন আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরের বিভিন্ন পার্কে পর্যায়ক্রমে এ ধরনের পথ পাঠাগার স্থাপন করতে চাই আমরা।’
লেখক: অ্যাসোসিয়েট, গ্রো ইয়োর রিডার ফাউন্ডেশন।