মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার লক্ষ্যে ‘মেন্টাল ওয়েলনেস রান’

‘আমাদের মন, আমাদের অধিকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে হয়ে গেল ‘মেন্টাল ওয়েলনেস রান’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সচেতনতামূলক এ রানের আয়োজন করেছে যৌথভাবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস (বাপ), সোসাইটি ফর সুইসাইড প্রিভেনশন বাংলাদেশ এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি রানার্স কমিউনিটি। এ ছাড়া সার্বিক সহযোগিতায় ছিল এসিআই ফার্মা।

ভোর সোয়া ছয়টায় টিএসসি থেকে রান শুরু হয়। টিএসসি হয়ে নীলক্ষেত বিশ্ববিদ্যালয় তোরণ, সেখান থেকে ইউটার্ন করে ফুলার রোড, স্বাধীনতা সংগ্রামের পাশ ঘেঁষে পলাশী মোড় থেকে শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, বাংলা একাডেমি হয়ে টিএসসি এসে রান শেষ হয়।

৫ কিলোমিটার রান শেষ করার সময়সীমা রাখা হয়েছিল ১ ঘণ্টা। পুরো রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া হয়েছে বিনা মূল্যে। প্রায় ২০০ দৌড়বিদ এতে অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেক রানারকে দেওয়া হয় রানিং টি–শার্ট, স্ন্যাকস ও পর্যাপ্ত হাইড্রেশন সাপোর্ট। এতে দেশের খ্যাতনামা অনেক চিকিৎসক, দৌড়বিদ ও তরুণ অংশ নেন।

রান শুরুর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেস ডিরেক্টর ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি রানার্স কমিউনিটির অ্যাডমিন সাইফুল্লাহ সাদেকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাবি রানার্স কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা, ট্রায়াথেলেট মো. ইসতিয়াক উদ্দিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের সহযোগী অধ্যাপক ও সোসাইটি ফর সুইসাইড প্রিভেনশন বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেলাল উদ্দিন আহমেদ, এসিআই ফার্মার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মোহাম্মদ আজিজ উল্লাহ। অংশগ্রহণকারী রানারদের মধ্য থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রবীণ ম্যারাথনার ও সোয়ান ফোমের চেয়ারম্যান মো. খবীর উদ্দিন খান এবং গ্লোবাল ফার্মার প্রধান নির্বাহী আ ক ম আহসান।

মেন্টাল ওয়েলনেস রান উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজুল ইসলাম।

বক্তারা মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় রানিংয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, দেশের খ্যাতনামা রানারদের দেখে আমরা আজকে অনুপ্রাণিত। আপনাদের দেখে তরুণরা অনুপ্রাণিত হবে। দেশে রানিংয়ের মতো শরীরচর্চায় নিয়মিত হয়ে উঠবে। নিয়মিত রানিংয়ের ফলে মানুষের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত হয়। আজকের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে আমাদের প্রত্যাশা, মনোযোগের উন্নয়নে সারা দেশের মানুষকে সচেতন করা ও মানুষের সুস্থ ও উন্নত মানসিকতার বিকাশ ঘটানো। আয়োজকেরা বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় দেশে এ ধরনের রানিং ইভেন্ট আয়োজন প্রথম উদ্যোগ। উদ্যোগটির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকেরা।

পৃথিবীর সব মানুষকে মানসিক স্বাস্থ্য এর ওপর বিশেষভাবে সচেতন করতে সারা বিশ্বে ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়। ১৯৯২ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। নানা রকম আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয় দিবসটি।