দুর্গম দ্বীপে মা–শিশুর সুরক্ষায় মানসম্পন্ন কমিউনিটিভিত্তিক সেবা গড়ে তোলায় গুরুত্বারোপ
প্রসূতি ও নবজাতকের জীবন বাঁচাতে দুর্গম দ্বীপে মিডওয়াইফসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের নেতৃত্বে মানসম্পন্ন সেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। এতে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন দ্বীপ এবং চরগুলোতে মা ও শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা মডেল সম্প্রসারণের মাধ্যমে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৩ অনুযায়ী মা ও শিশুমৃত্যু কাঙ্ক্ষিত হারে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। এ জন্য মিডওয়াইফদের জন্য প্রণীত জাতীয় নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী সারা দেশে মিডওয়াইফারি শিক্ষা এবং সেবা ক্রমাগত শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তাঁরা।
আজ সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার অভিগম্যতা, ব্যাপ্তি এবং স্থায়িত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন বিষয়ে এক কর্মশালায় তাঁরা এসব কথা বলেন।
কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. আহমেদুল কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক ও জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রচার ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. ইকবাল কবির, পরিচালক, হাসপাতাল ডা. আবু হুসেন মো. মইনুল আহসান, সুইডেন দূতাবাসের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ড্যানিয়েল নোভাক, ব্রিটিশ হাইকমিশনের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. মো. শফিকুল ইসলাম ও সুইডিশ পোস্টকোড ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি আন্না এমিলিয়া।
কর্মশালায় কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনীশ কুমার আগরওয়াল স্বাগত বক্তব্য দেন। বিশেষ আলোচক ছিলেন জেপিজি স্কুল অব পাবলিক হেলথের মিডওয়াইফারি এডুকেশন প্রোগ্রামের প্রধান ডা. শারমিনা রহমান।
ভোলা জেলার চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় মিডওয়াইফারি-লেড হেলথ সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্পের অভিজ্ঞতাগুলো কর্মশালায় তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রসূতি, নবজাতক ও শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে প্রশিক্ষিত ধাত্রী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নেতৃত্বে কার্যকর কৌশল অনুসরণ করে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ দুটিতে সফলভাবে কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলে।