প্রথম আলোর হাত ধরেই এসেছে সংবাদপত্রে আধুনিকতা
বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে আধুনিকতার কথা যদি বলতে হয়, তাহলে প্রথমে ‘প্রথম আলো’র নামটাই সামনে আসে। প্রথম আলো এমন একটি সংবাদপত্র, যার মাধ্যমে পাঠক জেনেছে, সে কী ভাবতে চায়। এ দেশ, এ দেশের সমাজ বাস্তবতা এবং এ দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যাকে পাঠকের চোখে আঙুল দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে প্রথম আলো। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম, রাষ্ট্রের গণতন্ত্র রক্ষায় এ গণমাধ্যমের ভাষা কী রকম হওয়া উচিত, তা শিখিয়েছে প্রথম আলো।
প্রথম আলোর প্রতিটি অনুসন্ধানী সংবাদ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রের জন্য প্রথম আলোর যে দায়বদ্ধতা, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা চিন্তা করে, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে প্রতিনিয়ত প্রথম আলোর অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে কোনো সময় সরকারি দলের রোষানলে, কোনো কোনো সময় বিরোধী দলের রোষানলে, কোনো কোনো সময় প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়তে হয়েছে প্রথম আলোকে।
শুধু তা–ই নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন অপ্রিয় সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন প্রথম আলোর অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা। জনগণের সঙ্গে প্রথম আলোর যে আত্মিক সম্পর্ক, তা তাদের সংবাদ প্রকাশের ধরন থেকেই বোঝা যায়।
‘নাগরিক সংবাদ’ প্রথম আলোর এক ব্যতিক্রমধর্মী অনলাইন প্রকাশনা, যা একেবারে জনগণের মনের কথাকে প্রতিনিয়ত ফুটিয়ে তোলে। প্রথম আলোর ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণমাধ্যমটির সঙ্গে জড়িত সবার প্রতি আন্তরিক শুভকামনা। প্রথম আলো বেঁচে থাকবে গণমানুষের মাঝে। যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে প্রথম আলো। প্রথম আলোর হাত ধরে বাংলাদেশে শুভশক্তির উদয় হোক।
লেখক: ফ্রিল্যান্স সংবাদকর্মী এবং মানবাধিকারকর্মী