গ্রামবাংলার শীতকাল

বাংলাদেশে প্রতিটি ঋতু তার নিজ নিজ বৈশিষ্ট্য নিয়ে হাজির হয়। শীতকাল হেমন্ত ও বসন্তের মাঝামাঝি সেতুবন্ধ রচনা করে হাজির হয় গ্রামবাংলায়। হেমন্তের নতুন ধান উঠে যাওয়ার পর মাঠে পড়ে থাকে ধানের ছোট নাড়া। তখন ভোর হওয়ার আগেই বাড়ি বাড়ি চলে নতুন ধান সেদ্ধ করা। পাশাপাশি রাতে বাড়ির উঠানে চুলায় চলে নতুন চালের তৈরি পিঠা বানানো। সকালে উঠে সেই পিঠা নিয়ে বসে পড়ে বাড়ির সব বয়সী সদস্যরা। সকালে গাছের ডালে, পাতায়, ফুলে দেখা মেলে মুক্তার মতো শিশিরবিন্দুর। ঘাসগুলোও যেন সকাল সকাল নেয়ে ওঠে শিশিরে। অনেকেই শখের বশে শিশিরে পা ভিজিয়ে হেঁটে বেড়ায়। খেজুরগাছগুলো রসের জন্য কেটে বসিয়ে দেওয়া হয় হাঁড়ি। সকাল সকাল সেই রস সংগ্রহ করে খাওয়ার পাশাপাশি চলে জ্বাল দিয়ে গুড় ও পাটালি বানানোর কাজ। বাজারে দেখা মেলে তরতাজা শাকসবজির। বাড়ি বাড়ি ব্যস্ততা বেড়ে যায় কুমড়োর বড়ি দেওয়ার। ছবিতে দেখে নেওয়া যাক গ্রামবাংলার শীতকালের কিছু চিত্র।

১ / ১১
কুয়াশার চাদর ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে শীতের সকালের লাল সূর্য
২ / ১১
খেতগুলোয় বুনে দেওয়া হচ্ছে চৈতালি শস্য
৩ / ১১
পাকা ধান কেটে স্তূপ করে রাখা হয়েছে, মাটিতে পড়ে আছে নাড়া
৪ / ১১
বাঁশবাগানের মাথার ওপর উঠেছে শীতকালের মায়াবী চাঁদ
৫ / ১১
শীতকালে বাজারে দেখা মেলে হরেক রকম তরতাজা শাকসবজির
৬ / ১১
শীতকালে বাড়ি বাড়ি ধুম পড়ে যায় কুমড়োর বড়ি দেওয়ার
৭ / ১১
শীতের রাত জেগে চলছে পিঠাপুলি বানানো
৮ / ১১
শীতের সকালে চলছে খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে পাটালি তৈরির কাজ
৯ / ১১
শীতের সকালে চলছে ধান সেদ্ধ করার কাজ
১০ / ১১
শীতের সকালের শিশিরস্নাত শিউলি ফুল
১১ / ১১
সকাল সকালখেজুরের রসের স্বাদ নিচ্ছে বুলবুলি