আনিসুল হককে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ড্রিম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা
গতকাল বুধবার। প্রতিবারের মতো এবার গাজীপুরের ড্রিম স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘স্বপ্নের বক্তব্য দিবস’। এবারের এ পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে নিমন্ত্রিত হয়ে স্বপ্নের বক্তা হয়ে আসেন সাহিত্যিক এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক ‘প্রথম আলো’র সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক। সাহিত্যিককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জাপানি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কাৎসুশি ফুরুসাওয়া।
আনিসুল হক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের তাঁর নিজের ছোটবেলা ও স্বপ্নপূরণের কথা বলেন। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের উক্তি দিয়ে শুরুতেই তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘মানুষ দুই ধরনের হয়। একদল মানুষ নেয়, তারা হচ্ছে নেতা। আর একদল মানুষ দেয়, তারা হচ্ছে দেওতা বা দেবতা। অতএব আমরা দাতা হব। আমরা যদি একটা মোমবাতি জ্বালাই, তবে সেটা থেকে ১০০টা মোমবাতি জ্বালাতে পারব। এতে আলোর কমতি হবে না। নিজের এই আলো জ্বালাতে হবে লেখাপড়া করে। তোমরা আকাশের দিকে তাকিয়ে উদার হতে শিখবে। এই দেশটা তোমাদেরই চালাতে হবে।’
আনিসুল হক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘জীবন কখনো ব্যর্থ হয় না। সাকিব আল হাসানের বাবা তাঁর ব্যাট কেটে ফেলেছিলেন। কারণ, তিনি চাননি ছেলে ক্রিকেটার হোক। সাকিব আল হাসান কি ব্যর্থ হয়েছেন? ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম পাইলট হতে চেয়েছিলেন। না হতে পেরে পরে হলেন প্রেসিডেন্ট।
পাইলট না হতে পেরে প্রেসিডেন্ট হতে পারাটা কি ভালো হয়েছে, না মন্দ হয়েছে?’ তিনি আরও বলেন, ‘সর্বদা বই পড়তে হবে। আমরা বেগম রোকেয়ার মতো আলোকিত হব, যেন সবাইকে আলোকিত করতে পারি।’ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি মজার মজার ব্যাপার শেয়ার করেন এবং তাদের ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে ও আদর্শ মানুষ হতে উদ্বুদ্ধ করেন। শিক্ষার্থীরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাঁর কথা শোনে এবং কথার জাদুকর এই সাদামনের মানুষের আন্তরিকতা ও সরলতা দেখে মুগ্ধ হয়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গানও গান এবং নিজের কথা বলা শেষে ‘প্রথম আলো’র সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন নিয়ে লেখা রচনায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের শেষে আনিসুল হকের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ দেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কাৎসুশি ফুরুসাওয়া।
*লেখক: প্রভাষক, ইংরেজি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল ড্রিম স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গাজীপুর