উৎসবে মাতল গণ বিশ্ববিদ্যালয়

সকাল হলেই ব্যাগ-বই-খাতার ব্যস্ততা নৈমিত্তিক ঘটনা। অথচ শনিবার সকালটা একটু ভিন্ন। রঙিন শাড়ি, পাঞ্জাবি পরে শিক্ষার্থীরা হাজির বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২৪ বছর আগের এমন দিনে যাত্রা শুরু করেছিল সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়। সেই দিন উদ্‌যাপনে সাজ সাজ রব ক্যাম্পাসজুড়ে।

সকালে আনন্দ র‌্যালির মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু। কুলায় একেকটা শব্দে লেখা ‘২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’। পেছনে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। যেন এক মিলনমেলা।

নীল রঙের ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এরপর ক্যাম্পাস আঙিনায় বৃক্ষরোপণ করেন তিনি। পরে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়ে সবার উদ্দেশে বক্তব্য দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘অতিসাধারণ ঘরের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে না এলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সে জন্য আমরা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের ৮০ হাজার গ্রামের প্রতিটি থেকে অন্তত একজনকে শিক্ষিত করতে চাই।’

এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উৎসবে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরাও।

বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইতি নামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পুরো আয়োজনের। ক্যাম্পাস হয়ে পড়ে সুনসান। আগামীকাল থেকে আবারও নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা ও ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক ব্যস্ততায় ফিরবে সবাই। নতুন–পুরোনোদের গড়ে তুলতে নিবিড়ভাবে ভূমিকা রাখবে ৩২ একরের ক্যাম্পাস।

প্রসঙ্গত, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ১৪ জুলাই। কিন্তু ঈদুল আজহার ছুটির কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আজ দিবসটি উদ্‌যাপিত হচ্ছে। সর্বশেষ ছয় বছর আগে ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপন করা হয়।

লেখক: শিক্ষার্থী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়