ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস নানাভাবে পালিত

মাটি ও পানি আমাদের অমূল্য সম্পদ। পরিবেশ, কৃষিসহ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ৫ ডিসেম্বর ছিল বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস। এবারের অর্থাৎ ২০২৩ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘Soil and water: a source of life’। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশে মৃত্তিকাবিজ্ঞান–বিষয়ক গবেষণা ও শিক্ষার পথিকৃৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে প্রথমেই ছিল ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস, ২০২৩’–সংক্রান্ত টি–শার্ট বিতরণ। এরপর বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খানের নেতৃত্বে ব্যানার, প্ল্যাকার্ডসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কার্জন হল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবার বিভাগের সামনে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রা শেষে বৃক্ষরোপণ করা হয়। বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষ‍ে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়, যেমন কুইজ, পোস্টার, ফটোগ্রাফি ও প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিভাগের কনফারেন্স কক্ষে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অধ্যাপক এ এস এম মহিউদ্দিন, আখতার হোসেন খান।

এরপর ‘ভূমির ব‍্যবহার এবং তার পরিচালনা’ বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেনটেশন দেন অধ‍্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানের সবশেষ পর্যায়ে সভাপতি অধ‍্যাপক মোহাম্মদ হারুনর রশীদ খান মাটি ও পানির ব্যবহারের বিষয়ে নানা সতর্কবার্তা প্রদান করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক দায়িত্বে ছিল মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের ৬৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য International Union of soil science সারা পৃথিবীর মানুষের মাঝে মৃত্তিকাসম্পদ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ২০০২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালন করে আসছে। পরবর্তীকালে এর গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ৫ ডিসেম্বরকে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

২০১৪ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথিবীতে ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ পালিত হয়।

  • লেখক: মাহজাবিন প্রেমা পায়েল, শিক্ষার্থী, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয়