নোয়াখালীতে আর্সেনিক–ঝুঁকি কমাতে প্রকল্প: হ্যাবিটেট ও হীড বাংলাদেশের চুক্তি স্বাক্ষর

নোয়াখালীতে আর্সেনিক–ঝুঁকি কমাতে একটি প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর করে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা হ্যাবিটেট ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ও হীড বাংলাদেশছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী জেলার সদর ও সুবর্ণচর উপজেলায় আর্সেনিক–ঝুঁকি ও পানিবাহিত রোগ কমাতে প্রকল্প শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা হ্যাবিটেট ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ। চলতি এপ্রিল মাসে এ প্রকল্প শুরু হয়েছে। এটি শেষ হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। আজ বৃহস্পতিবার হ্যাবিটেটের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নোয়াখালীর দুই উপজেলার এ প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)। প্রকল্পের স্থানীয় পর্যায়ের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে বেসরকারি সংগঠন হীড বাংলাদেশ। আজ এ প্রকল্প নিয়ে হ্যাবিটেট ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সঙ্গে হীড বাংলাদেশের একটি অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রাজধানীর গুলশানে হ্যাবিটেট ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের অফিসে এ অনুষ্ঠান হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রকল্পের অধীন নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর, চর মটুয়া ও কালাদরপ ইউনিয়ন এবং সুবর্ণচর উপজেলার চর ক্লার্ক ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ হাজার আর্সেনিক–পীড়িত দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবেন। প্রকল্পের মাধ্যমে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন, স্থানীয় আর্সেনিক অ্যাকশন গ্রুপ গঠন ও দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার স্থাপন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অংশীজনদের দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি কাজ হবে।  প্রকল্পটি এসডিজি-৬ এবং বাংলাদেশ সরকারের নিরাপদ পানি সরবরাহে আর্সেনিক নিরসন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগী ভূমিকা পালন করবে। অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের হ্যাবিটেট ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর জেমস স্যামুয়েল ও হীড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন একে অন্যের হাতে স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র তুলে দেন। সার্বিক সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন হ্যাবিটেট ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনালের এশিয়া প্যাসিফিক ও বাংলাদেশের ওয়াশ স্পেশালিস্ট আয়াতুল্লাহ্ আল-মামুন। সভায় দুই সংস্থার অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফাহমিদা শুকরিয়া, সুবীর খিয়াং প্রমুখ।