জরায়ুমুখ ক্যানসার নিয়ে সচেতনতায় আইদেশির স্কুলভিত্তিক কর্মসূচি শুরু
ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভ (আইদেশি) কিশোরীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে ‘স্কুলভিত্তিক সচেতনতা ও টিকাদান কর্মসূচি’ শুরু করেছে।
গত রোববার এই সচেতনতামূলক কর্মসূচির উদ্বোধনী হয় মিরপুরের বিসিআইসি স্কুল ও আল-নাহিয়ান হাইস্কুলে। আইদেশির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী। তিনি অনুষ্ঠানে জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণ, প্রতিকার, ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী, এইচপিভি টিকা কী, কারা এটা দিতে পারবেন—এসব নিয়ে আলোচনা করেন। এর পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষকদের করণীয় সম্পর্কে বলেন। মেয়েদের মেয়েলি সমস্যাগুলো কীভাবে পরিবারের মা বা বোনদের সঙ্গে আলোচনা করা যায়, সে সম্পর্কেও আলোকপাত করেন তিনি।
বিসিআইসি কলেজের অধ্যক্ষ অবনীন্দ্রনাথ বৈদ্য আইদেশি টিমকে ধন্যবাদ জানান এবং ছাত্রীদের টিকা নিতে উৎসাহিত করেন। অন্য শিক্ষক–শিক্ষিকারাও টিকা নিতে ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করেন এবং মা–বাবাদের টিকার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে বলেন।
অনুষ্ঠানে সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) সাবেক প্রকল্প ব্যবস্থাপক তাজুল ইসলাম এ বারি, আইসিডিডিআরবি সহযোগী বিজ্ঞানী রেবেকা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ছাত্রীরা জরায়ুমুখ ক্যানসার সম্পর্কে অনেক অজানা কথা জানতে পারে।
আইদেশির উদ্দেশ্য হলো, প্রাসঙ্গিক, সাধারণ ও সহজভাবে এইচপিভি টিকা সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করা, যা সবাইকে ভুল ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে সাহায্য করবে এবং এইচপিভি টিকার ঝুঁকি ও সুবিধা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করবে।
বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হন, জরায়ুমুখ ক্যানসার সেগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং এটা নিরাপদ ও কার্যকরী।
বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান–বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এই টিকা বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। ভ্যাক্সইপিআই অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করার মাধ্যমে মেয়েরা নিজ নিজ স্কুল অথবা ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র থেকে এইচপিভি টিকা গ্রহণ করতে পারবে।