রাজধানীতে বাসে চেকার ব্যবস্থা বন্ধ হবে কি

ব্যস্ত নগরী রাজধানী ঢাকা। দৈনিক লাখো পথচারী এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে যায়। অনেক যাত্রীর যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাস। সাম্প্রতিক সময়ে তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে বাসের ভাড়া। আন্তর্জাতিকভাবে দাম কমা সত্ত্বেও এ দেশে আর কমেনি তেলের দাম। একবার দাম বাড়লে সেটা কমবে, এমন নজিরও তেমন নেই আমাদের দেশে।

দীর্ঘদিন চেকার সিস্টেম নিয়ে যাত্রীদের একটা ক্ষোভ ছিল। নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর চেকার। তারা খাতায় স্বাক্ষর করার পর সবাইকে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত সমান ভাড়া দিতে হয়। যেটা রীতিমতো প্রতারণার শামিল। যেমন ধরেন, ঢাকা সিটি কলেজ থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের দূরত্ব ৪.২ কিলোমিটার। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ভাড়া হিসাব করলে আসে ৮ টাকা, সেখানে নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। কিন্তু সিটি কলেজে চেকার স্বাক্ষর শেষে কেউ যদি জিগাতলায় বা আরও কাছাকাছি কোনো জায়গায় নেমে যায়, তবুও একই নিয়মকানুন একই টাকা গুনতে হয়। যেটা রীতিমতো যাত্রীদের হয়রানি ও চাপিয়ে দেওয়ার শামিল।

বাসমালিকদের কাছে যাত্রীরা বারবার অসহায়ত্ব প্রকাশ করেও কোনো ফল পায়নি। যাত্রীদের দুঃখ হলো তারা নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম না করেও বর্ধিত ভাড়া দিতে হচ্ছে। অথচ ঢাকার বাইরে চেকার ছাড়াই নির্বিঘ্নে বাস চালাচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে কিছুদিন আগে কর্তৃপক্ষ বলেছিল, চেকার থাকবে না। অথচ কে কার কথা শোনে। সেই কথার কর্ণপাত না করেই চলছে চেকার ব্যবস্থা।

দুঃখজনক বিষয়, এত আন্দোলন–সংগ্রাম, অভিযোগ করা সত্ত্বেও এটা নিয়ে সরকারিভাবে বৃহৎ ও যুগোপযোগী কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। এমতাবস্থায় চেকার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া নেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

লেখক: মো. সায়েদ আফ্রিদী, শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ