টেকসই সামাজিক উন্নয়নে ক্যারিয়ার গড়ছে বিডিএসআইএফ

মো. আলী আকবর।
ছবি: সংগৃহীত

দুয়ারে প্রস্তুত চতুর্থ শিল্পবিপ্লব। জীবন-জীবিকায় সেতুবন্ধ রচনা করছে প্রযুক্তি ও ভার্চ্যুয়াল মাধ্যম। সমাজ উন্নয়নের শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে টেক আর টেকসই এর মধ্যে তারুণ্যের দারুণ একটা বন্ধুত্ব বা ‘সই’সুলভ ভাব রচনা করে চলেছে বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফোরাম (বিডিএসআইএফ)। প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরেই যুবকদের টেকসই উন্নয়নে অংশীদার করতে স্কলারশিপ, ফেলোশিপ এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তা করছে।

টেকসই উন্নয়নের চতুর্থ ভিত্তিপ্রস্তর স্বেচ্ছাসেবাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অন্যতম ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে মহাসমারোহে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন সামিট এবং বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যালি ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২১ দিয়ে প্রযুক্তির শক্তিতে বলীয়ান তরুণদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের একটি প্ল্যাটফর্ম উপহার দিয়েছে সংগঠনটি।

২০১৯ সালে প্রথম বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন সামিট ও অ্যাওয়ার্ডে সরাসরি ৮০০ জন অংশ নিলেও অনলাইনে সংযুক্ত থাকেন ৮ লক্ষাধিক।

প্রথম আলো ফাইল ছবি

বিশ্বজুড়েই প্রযুক্তির টেকসই অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবায় যুবকদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার এ অনন্য উদ্যোগে বিডিএসআইএফের সঙ্গে যূথবদ্ধ হয়ে কাজ করে অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা। সেই শক্তিতে ভর করেই প্রযুক্তি–নির্ভর সামাজিক দায়বদ্ধতায় এগিয়ে থাকা উদ্যোগগুলোকে সামনে নিয়ে আসে সংগঠনটি।

বিডিএসআইএফ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আলী আকবর। তাঁর ভাষায়, ‘ব্যক্তি আর সমাজ যেহেতু এককাট্টা। তাই সামাজকে ছাড়া ব্যক্তির উন্নয়ন অসম্পূর্ণ। সেই দর্শন থেকেই আমি জীবনের শুরুতে আবাসন খাতে চাকরি শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে প্রতিষ্ঠা পেলেও সমাজ উন্নয়নের ডাককে উপেক্ষা করতে পারিনি। যে কারণেই ২০১৮ সালে এর শেষের দিকে গড়ে তুলি বিডিএসআইএফ। আমি যখন ক্যারিয়ারের ডাকে কানাডায় পাড়ি জমাই। তখন অ্যাম্বাসিতে এই সামাজিক উদ্যোগকেই নিয়ে আসা হয় সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হিসেবে।’ বিজ্ঞপ্তি