করোনায় দক্ষিণাঞ্চলের অসহায় মানুষের পাশে ৯ নারী সহপাঠীর সংগঠন ‘সহচরী’

অসহায় মানুষের সহচর হওয়ার ইচ্ছায় ২০২০ সালের লকডাউনের সময়ে কাজ করতে শুরু করে ‘সহচরী’। লকডাউনে কর্মহীন মধ্যবিত্ত পরিবারের সহায় হওয়ার ইচ্ছায় তারা অর্থ সংগ্রহ করে। ২০২০ সালের শেষে মোট ৬ ধাপে ১৮৯ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী ও প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করতে সক্ষম হয়।

২০২১ সালে আবারও করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায়, সহচরী কাজ করতে শুরু করে। ২০২১ সালে সহচরীর সাহায্য কার্যক্রমের ৭ম ও ৮ম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। এ দুই ধাপে মোট ৬০ জন মানুষকে খাদ্যসামগ্রী, চিকিৎসা খরচসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ৫ জন মানুষকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য পুঁজি বাবদ অর্থসহায়তা প্রদান ও ব্যবসার প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী কিনে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

এর মধ্যে একজনকে তাঁর দোকানের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে দিতে সক্ষম হয়েছে, বাকিদের ব্যাপারে কাজ চলমান। এ ৬০ পরিবারের মাঝে, ৩৩টি পরিবারে ৭ দিন ও ১৫ দিনের খাদ্যসামগ্রী প্রদান, ১৫ জনকে তাদের চিকিৎসার খরচ প্রদান, ৯ জনকে অর্থসাহায্য প্রদান, যাতে প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনে নিতে পারে, একজনকে স্থায়ীভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য ব্যবসার পণ্যসামগ্রী প্রদান ও ১০ জনকে ঈদ খাদ্যসামগ্রী দানের পাশাপাশি পরিধেয় বস্ত্র প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে।

গত ৯ মে বরিশালের চানমারী এলাকার বস্তিতে ৩০ পরিবারকে ২০ দিনের খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেছেন সহচরীর সদস্যরা। ১০ মে মুক্তিযোদ্ধা পার্কের পেছনের বস্তিতে ১০০ জন মানুষকে ইফতার ও সাহ্‌রি প্রদান করেছে সহচরী।

সহচারীর নতুন পরিকল্পনা হচ্ছে, বৃদ্ধ রিকশাচালকদের জন্য কাজ করা। সহচরীর এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যত দিন এই দুস্থ মানুষগুলোর অসহায়ত্ব থাকবে, সহচরীও সহযোগিতার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে যাবে বলে অঙ্গীকার করেছেন সহচরীর ৯ সহচরী—সূচনা, মুনিয়া, অনন্যা, মাহেরা, ফারজানা, আশা, পূজা, তুষা ও মীম।

সহচারীর সব সদস্যই বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী।