আসুন মানবিক হই, শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই
বিশ্বে করোনা মহামারিতে ২২ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদের নিজ দেশেও অনেক লোক আক্রান্ত হয়েছেন। সারা দেশ এখনো থমকে আছে। আর এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দেখা দিয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বিভিন্ন জেলায় এমন অনেক মানুষ আজও অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। তাদের মৌলিক চাহিদাগুলোর অভাব।
অনেক মানুষ শীতবস্ত্র, বাসস্থান, খাদ্য ইত্যাদির অভাবে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
স্বাভাবিক নিয়মেই ঋতুর পালাবদল ঘটে। কিন্তু মাঝেমধ্যে প্রকৃতির রূঢ় আচরণ মানুষের অসহায়ত্বকে বড় করে দেখিয়ে দেয়। হিমেল হাওয়া ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দরিদ্র জনগোষ্ঠী-অধ্যুষিত অঞ্চলে বিরূপ প্রভাব ফেলে। হতদরিদ্র অনেক মানুষেরই প্রচণ্ড শীতের প্রকোপ থেকে আত্মরক্ষার জন্য ন্যূনতম শীতবস্ত্র, খাদ্যদ্রব্য, উপযুক্ত আশ্রয় বা বাসস্থানের সুবিধা থাকে না। চরম ভোগান্তিতে পড়ে দেশের মানুষ। অসহায়-দরিদ্র মানুষ বিশেষ করে পথশিশুদের কষ্টের শেষ নেই। মানুষ তো মানুষেরই জন্য। তাই এ সময়ে আসুন আমরা অসহায় ও গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াই। নিজ নিজ এলাকা থেকে নতুন কিংবা পুরোনো শীতবস্ত্র সংগ্রহ করে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সারা দেশের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ রইল। আমাদের দেওয়া একটি পুরোনো বা নতুন শীতবস্ত্র একজন শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণের অবলম্বন হতে পারে। পুরোদমে চলছে শীতকাল। নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগও বাড়তে শুরু করেছে। গরম কাপড়ের অভাবে অসহায় মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না। সমাজের উঁচু স্তরের মানুষ তাদের পাশে দাঁড়িয়ে একটু মমতার দৃষ্টি দিলে তারা আরামে ঘুমাতে পারে। শীতার্ত মানুষ কতটা দুর্বিষহ জীবন যাপন করে, তা শহর-নগরের ফুটপাত, রেলস্টেশনে না গেলে বোঝা মুশকিল। মানবতার সেবা সবচেয়ে বড় ইবাদত। তাই আসুন, শীতার্ত মানুষের দুর্বিষহ জীবনের কথা ভেবে তাদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই। তাদের জন্য গরম কাপড়ের ব্যবস্থা করি। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য চলমান শৈত্যপ্রবাহ দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলেছে। শীত মৌসুম কেটে যাওয়ার আগে আরও শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা আছে। শীতের দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে। গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের গ্রামের অভাবী ও গরিব মানুষ।