সামাজিক ন্যায়বিচার সংসদীয় ককাস গঠিত

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেশ কয়েক সাংসদ সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। কর্মসংস্থান, দক্ষতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রগুলো সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতের চাবিকাঠি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সাংসদেরা এ অভিযানকে একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার সংসদীয় ককাস গঠনের প্রস্তাব করেন।

সামাজিক ন্যায়বিচার সংসদীয় ককাসে চেয়ারম্যান হিসেবে সাংসদ আনোয়ারুল আবেদীন খান ও ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। সাবেক সাংসদ মাহজাবিন খালেদ সামাজিক ন্যায়বিচার সংসদীয় ককাসের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবেন। ইনস্টিটিউট অব ইনফরম্যাটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইআইডি) সামাজিক ন্যায়বিচার সংসদীয় ককাসের সচিবালয় হিসেবে থাকবে।

কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত একটি পলিসি কনক্লেভে (সাংসদ সম্মিলন) ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ১৫ সাংসদ যোগ দেন। তাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং আগামী বছরগুলোতে সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য যেসব উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

পলিসি কনক্লেভে যোগ দেওয়া অন্যান্য সাংসদের মধ্যে ছিলেন আহসান আদেলুর রহমান, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, শফিকুল ইসলাম, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রানা মোহাম্মদ সোহেল, ছানোয়ার হোসেন, শামসুন নাহার, মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার, মজিবুর রহমান চৌধুরী, তানভীর শাকিল, আনোয়ার হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন ও আশেক উল্লাহ।

সাংসদেরা বলেন, গত পাঁচ দশকে মাথাপিছু আয় ও গড় আয়ু বেড়েছে, দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, বৃদ্ধি হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। তবে লিঙ্গসমতার পাশাপাশি জনগণের দৃঢ়তা এবং পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মাধ্যমে যেসব অগ্রগতির ফল পাওয়া যাচ্ছে, তা এখনো সমাজের সব স্তরের নাগরিকদের মধ্যে সমানভাবে বিতরণ সম্ভব হয়নি। সামাজিক অন্তর্ভুক্তির অনেক ক্ষেত্রে এখনো পিছিয়ে।

স্থানীয় পর্যায়ে, যেকোনো উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে অতিদরিদ্র ও দুর্বল মানুষের কথা মাথায় রাখা জরুরি বলে সাংসদেরা মত দেন। বিশেষ করে নদীভাঙন বন্ধ করতে এবং দরিদ্র মানুষের জীবিকা ও কর্মসংস্থান রক্ষার জন্য টেকসই বাঁধের কথা বলেন। ঝাড়ুদার, হরিজন জনগোষ্ঠীর মতো বিভিন্ন দুর্বল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়েও আলোচনা হয়।