বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবসে সেমিনার অনুষ্ঠিত

১৭ এপ্রিলে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবসে অনলাইনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

১৭ এপ্রিল বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস। এ উপলক্ষে গত শুক্রবার ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব হিমোফিলিয়া অ্যান্ড রোটারি ক্লাব অব তুরাগ, উত্তরা-এর আয়োজনে অনলাইনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারে বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব হিমোফিলিয়ার সভাপতি মো. সালাউদ্দিন শাহ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ ও বাংলাদেশের গভর্নর নমিনি ইঞ্জিনিয়ার এম এ ওয়াব। অতিথি ছিলেন এশিয়ান প্যাসিফিক আইসল্যান্ডার ক্যানসাস ডেমোক্রেটিক পার্টি ও ইউএসএর চেয়ারম্যান রোটারিয়ান রেহান রেজা, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১, বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী গভর্নর রোটারিয়ান এম খায়রুল আলম, খুলনা মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন, রোটারি ক্লাব অব তুরাগ উত্তরার প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান মো. মতিউর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাফিউর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব হিমোফিলিয়ার সহসভাপতি চিকিৎসক জিনাত আরা।

চিকিৎসক মো. সালাউদ্দিন শাহ বলেন, এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতি ১০ হাজারজনে একজন হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হন। বাংলাদেশে কতজন হিমোফিলিয়া রোগী আছেন, তাঁর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও প্রায় ১০ হাজার হিমোফিলিয়া রোগী আছেন বলে ধারণা করা হয়। আর রোগটি সাধারণত পুরুষদেরই দেখা যায়।

এম এ ওয়াব বলেন, হিমোফিলিয়া রোগের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। এসব রোগীকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসার দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছে ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব হিমোফিলিয়া। অসহায় মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি ধনীদের এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, সঠিক চিকিৎসা পেলে হিমোফিলিয়া রোগীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।

রেহান রেজা বলেন, সঠিক সময় সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারলে হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থ করে তোলার সম্ভব। হিমোফিলিয়া রোগীদের সহায়তার জন্য একটি কল্যাণ তহবিল করার আহ্বান জানিয়ে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

অনলাইন সেমিনারে হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীরা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেন। এ সময় রক্ত রোগের চিকিৎসা জন্য তাঁরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস অর্থাৎ এক হাসপাতালে সব সেবা চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।