‘যেকোনো মানুষের মৃত্যু আমাকে ছোট করে’

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান

মৃত্যু অনিবার্য বলেই মানুষ জীবনকে এত ভালোবাসে। পৃথিবী এক ভয়ংকর কঠিন সময় পার করছে। এখানে কারও জীবনের নিশ্চয়তা নেই। ভীষণ অন্ধকার, অনিশ্চিত এক সময়। কিছু সজাগ মানুষই ছিল একমাত্র বাতিঘর। ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিভে গেল আরেকটি বাতিঘর। টেলিভিশন, অনলাইন ও ফেসবুকে একটি খবর ভেসে উঠল, মিজানুর রহমান খান আর নেই। আমাদের প্রিয় মিজান ভাই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। (ইন্না লিল্লাহে…রাজিউন) মৃত্যুর চেয়ে নৈশব্দ আর কী হয়? তিনি এখন অন্য জগতে। যে জগতের সঙ্গে কারও যোগাযোগ নেই।

মিজান ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় এক দশকের বেশি সময়। ২০১৭ সাল থেকে খুব কাছে থেকে তাঁকে দেখার সুযোগ হয়। আমরা একটি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমরা একই ফ্লোরে বসি। মিজান ভাইয়ের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি কথা হতো দুপুরে ক্যানটিনে খাওয়ার সময়। মিজান ভাই তাঁর জীবনে সাংবাদিকতাকে সব সময় সামনে রেখেছেন। একসময় মিজান ভাইয়ের স্ত্রী, আমাদের ভাবি অসুস্থ ছিলেন, মিজান ভাইয়ের হাঁটুতে ব্যথা ছিল। কিন্তু এর কোনো কিছুর জন্যই মিজান ভাই তাঁর সাংবাদিকতাকে এতটুকু ছাড় দিয়েছেন বলে মনে হয়নি। আমাদের ফ্লোর একেবারে খোলামেলা। কাজের নির্ধারিত ডেস্ক ছাড়া কয়েকটা জায়গা আছে, যেখানে আড্ডা দেওয়া যায়, গল্প-মিটিং করা যায়।

মিজান ভাই বসেন এডিটরিয়াল বিভাগে। কিন্তু কখনো দেখতাম বোর্ডরুমে প্রায় সারা দিন ল্যাপটপে কাজ করছেন। দেশে, কোনো সময় বিদেশে ফোন করে তথ্য নিচ্ছেন। ই-মেইল আসছে। এসব ঠিক করছেন। তিনি শুধু একা নন, তাঁর একটি সন্তানকেও দেখেছি দিনের পর দিন তাঁকে সহযোগিতা করছে। আমাদের ফ্লোরে কাচ ও কাঠ দিয়ে ঘেরা একটি সুন্দর গোলরুম আছে। সেখানে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছেন। এ যেন এক ক্লান্তিহীন নিরন্তর কাজ। কত দিন দেখেছি, এডিটরিয়ালে তখন অন্য কেউ নেই। অনেক রাত। তখনো মিজান ভাই বসে কাজ করছেন। তাঁকে দেখেই আমার প্রথম মনে হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিকও আছেন। কেন ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিক বললাম; কারণ, এমন অনেক দিন গেছে, নিচে মিজান ভাইসহ লিফটের জন্য অপেক্ষা করছি। লিফটে উঠেছি। লিফট থেকে নেমেছি। মিজান ভাই মোবাইলে কাজ করেই যাচ্ছেন। কে তাঁর সঙ্গে উঠল–নামল, কোনো দিকেই খেয়াল নেই। একদিন আমাদের ফিচার সম্পাদক সুমি আপাও বলছিলেন, লিফটে মিজান ভাই নামবেন সাততলা, কিন্তু তিনি মোবাইল টিপতে টিপতে আমাদের অন্য ফ্লোরে চলে গেছেন। মিজান ভাই যতটুকু সময় বাসায় থাকেন, মনে হয় সে সময়ও সাংবাদিকতাই করতে থাকেন। তাই তিনি হলেন ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিক।

মিজান ভাই যেমন বড় মাপের সাংবাদিক, তেমনি বিশাল মনের মানুষও। তিনি কথা বলতেন উচ্চ স্বরে। হাসতেন উচ্চ স্বরে। কিন্তু তিনি ছিলেন অসম্ভব বিনয়ী একজন মানুষ। অন্যের প্রতি ছিল তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। সারল্য ছিল শিশুর মতো। যেকোনো বিষয় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যেত। খুনসুটি করা যেত।

কত মানুষ যে নীরবে মিজান ভাইকে ভালোবেসে গেছে, এর যেন শেষ নেই। আমার গ্রামে বন্ধুরা যারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে, চাকরি করে, তারা মিজান ভাইকে চেনে। গ্রামে গেলে মিজান ভাইয়ের কথা জানতে চায়। একবার কী যেন একটা বিষয়ে গ্রাম থেকে মিজান ভাইয়ের কাছে জানতে চেয়েছি। এখনো মনে পড়ে, যতটুকু প্রয়োজন তার থেকে অনেক বেশি তথ্য মিজান ভাই পাঠিয়েছিলেন। মৃত্যুর কয়েক দিন আগে থেকে বুয়েটের এক অধ্যাপক আপা বারবার মিজান ভাইয়ের খবর জানতে চাচ্ছিলেন। আমি আবার খবর নিচ্ছিলাম এডিটরিয়াল বিভাগের সোহরাব ভাই ও সরফুদ্দিন ভাইয়ের কাছ থেকে। কিন্তু সেই খবরের মধ্যে আর জীবনের স্পন্দন ছিল না। ছিল নিস্তব্ধতা। তাঁরা বলছিলেন আগের মতোই। অর্থাৎ, ভেন্টিলেশনে আছেন। ফলে আমিও কোনো ভালো তথ্য আপাকে দিতে পারছিলাম না। মৃত্যুর দিন সন্ধ্যার পর কথা হলো, তিনি একটু কথা বলেই কেঁদে ফেললেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী ফোন করে বললেন, ‘ভাই, বিশ্বাস করতে পারছি না, মিজান ভাই এভাবে চলে যাবেন। আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।’ ডা. এম গোলাম আজম বলছিলেন যে মনের অজান্তেই তিনি মিজান ভাইয়ের ভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। দেশের অসংখ্য মানুষ ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে মিজান ভাইয়ের প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাস জানিয়েছেন। আমাদের সহকর্মী মশিউল ভাই লিখেছেন, ‘উই লস্ট এ রিয়েল জার্নালিস্ট। উই লস্ট এ ট্রু কলিগ। উই লস্ট এ লাভিং ব্রাদার।’ আবু সাঈদ লিখেছেন, ‘একেবারে বিশ্বাস হচ্ছে না মিজান ভাই নেই। মিজান ভাই একজন সেরাদের সেরা মানুষ।...খোলা মনে হাসতেন। এমন বিজ্ঞ, জ্ঞানী, সৎ মানুষ আমার দেখা দ্বিতীয়টি নেই।’ এনডি মিথুন লিখেছেন, ‘ক্যামনে বিশ্বাস করব আপনি আর নেই!! আইনের সুশাসন, আইনের সহজ ব্যাখ্যা ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে মনে রাখবে।’

সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরার সময় মিজান ভাইয়ের সঙ্গে মাঝেমধ্যে লিফটের সামনে দেখা হতো। মিজান ভাই সেই মোবাইলেই কাজে করছেন। কখনো মজা করে বললাম, ‘মিজান ভাই, এই যে সারা দেশেই আপনার ভক্ত। এদের জন্য বাণী কী?’ এটা শুনে মিজান ভাই হাসতেন। হয়তো বললাম, ‘কোনো বাণী নেই মিজান ভাই?’ তিনি আরও জোরে হাসতেন। অন্যদিন হয়তো বললাম, ‘মিজান ভাই আপনি কিন্তু ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবেন।’ মিজান ভাইয়ের একই হাসি। সেই মিজান ভাই আজ সত্যি সত্যি ইতিহাস।

আইনজগতের ভীষণ প্রভাবশালী সাংবাদিক মিজান ভাই। কিন্তু তিনি এখানেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না। মনে পড়ছে ২০১৯ সালের ২৫ জুলাইয়ের কথা। সেদিন ‘হেপাটাইটিস নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা ছিল। সে আলোচনার একজন অন্যতম আলোচক ছিলেন মিজান ভাই। উপমহাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন যে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, এটা আমি প্রথম মিজান ভাইয়ের আলোচনা থেকে জানতে পারি। ‘কুলি’ ছবির শুটিংয়ে তিন গুরুতর আহত হন। তাঁকে অনেকের রক্ত নিতে হয়। তাঁদের একজনের রক্তে ছিল হেপাটাইটিস বি। আর তাতেই তিনি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। সেই গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বারডেমের সাবেক সহকারী অধ্যাপক লিভার বিশেষজ্ঞ এম গোলাম আজম। তিনি তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আপনার আইনি বিশ্লেষণ অসাধারণ ছিল। পড়তাম মনোযোগ দিয়েই। কখন যেন ভক্ত হয়ে গেলাম। হেপাটলজি সোসাইটির অনুষ্ঠানে আপনি আসতেন। মানুষের স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কী সাবলীলভাবে উপস্থাপনা করতেন। ভাই আমার, আপনার জন্য দোয়া। আপনি ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি যে স্বাস্থ্য খাতের এই দিকটা এত জানতেন, আমরা এটা জানতামই না।’
কয়েক দিন আগে ভার্চ্যুয়ালি একটি আইনবিষয়ক আলোচনা করছিলাম। তখন কয়েকজন আইনজীবী বলছিলেন, তাঁরা আইনের সে বিষয়টি মিজান ভাইয়ের আলোচনা থেকে প্রথম জেনেছেন। নানা বিষয়ের প্রতি মিজান ভাইয়ের গভীর কৌতূহল ছিল। তিনি সব সময় এগিয়ে থাকতেন।

সাংবাদিক কামাল আহমেদ লিখেছেন, ‘যাঁরা তাঁকে শুধু আইনের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে জানেন, তাঁরা অনেকেই হয়তো খেয়াল করেননি, তিনি অর্থনীতি কিংবা বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলোতেও খবরের পেছনে ছুটেছেন।’
তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পড়াতেন। কিন্তু সবচেয়ে বিস্ময়কর হলো, আইন বিষয় মিজান ভাইয়ের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। এখনো বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে কোনো রকম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া আইনের মতো জটিল বিষয়ে কীভাবে তিনি গভীর বিশ্লেষণমূলক লেখা লিখতেন। প্রথম আলোয় মিজান ভাইয়ের শোক জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আমাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ ভাই বলছিলেন যে প্রয়াত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান মিজান ভাইকে আইন বিষয়ে একটা ডিগ্রি নিতে বলেছিলেন। কারণ, তিনি আইন বিষয়ে অনেক জানেন। অনেক লেখেন। বিশিষ্টজনেরা শোকবার্তায় বলেছেন, আইন বিষয়ে লেখালেখি ও সাংবাদিকতায় মিজানুর রহমান খান ছিলেন পথিকৃৎ। মিজান ভাইয়ের চলে যাওয়া তাঁর পরিবার ও প্রথম আলোর জন্য ক্ষতি তো বটেই। কিন্তু এর থেকে অনেক বেশি ক্ষতি সংবাদ জগতের। সাংবাদিকতা করতে যে ধৈর্য, মনোযোগ ও একাগ্রতা প্রয়োজন, সেটা ছিল মিজান ভাইয়ের।
মিজান ভাই শুধু সম্পাদকীয় লেখার মধ্যেই নিজেকে ধরে রাখেননি। তিনি প্রথম আলোয় প্রতিবেদন লিখতেন, তাঁর দুর্দান্ত সাক্ষাৎকার ছাপা হতো। মিজান ভাই ছিলেন সময়ের সেরা আধুনিক সাংবাদিক। তিনি সব সময় সময়ের থেকে এগিয়ে থাকতেন। তিনি ছবি তুলতেন। ভিডিও করতেন। ভিডিও প্রতিবেদনও করতেন। সারা জীবন সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। কোনো দিন নিজের কথা ভাবেননি।

কারওয়ান বাজারে তোলা মিজান ভাইয়ের সেই ছবিটার কথা কোনো দিন ভোলা যাবে না। দুই বাসের চাপে তিতুমীর কলেজের স্নাতক বর্ষের শিক্ষার্থী রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি ছবিটি মোবাইলে তুলে নেন। মিজান ভাইয়ের তোলা ওই ছবির জন্যই দীর্ঘকাল মানুষ রাজীবের ওই দুর্ঘটনার কথা মনে রাখবে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গোপন দলিলের বিষয়ে মিজান ভাই কাজ করেন। প্রতিবেদন করেন, বই লেখেন। ১৯৭৫ সালের ঘটনাপ্রবাহ ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কূটনীতিকদের ভাষ্যে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিষয়ে তাঁর প্রতিবেদন দেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—
‘সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক’, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের স্বরূপ’, এবং ‘১৯৭১ আমেরিকার গোপন দলিল ও মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকাণ্ড’।

দেশের লাখ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছেন। সেরে উঠলেন না কেবল মিজান ভাই। ২ ডিসেম্বর যখন করোনার নমুনা পরীক্ষা পজিটিভ আসে। তখন একটুও ভাবিনি মিজান ভাইয়ের কিছু হতে পারে। ৫ ডিসেম্বর তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তখনো একটুও মনে হয়নি মিজান ভাইয়ের কিছু হবে। আমার কাছে মিজান ভাইয়ের খবরের উৎস ছিলেন সোহরাব ভাই ও সরফুদ্দিন ভাই। প্রায় প্রতিদিন দুপুরে খাওয়ার সময় খবর নিতাম। মাঝে কয়েক দিন খবর নেওয়া হয়নি। কারণ, ধরেই নিয়েছি কিছু হবে না। করোনার শুরু থেকেই আমাদের অফিস অতিরিক্ত সচেতনতা মেনে আসছে। সর্বক্ষণ কর্মীদের সঙ্গে প্রায় ছায়ার মতো লেগে আছে। শুধু কর্মী নন, বাসার অন্য কারও করোনা হলেও সেটা অফিসকে জানাতে বলা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রথম আলোর ৮২ জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথম আলোর প্রথম করোনায় আক্রান্ত কর্মী বাণিজ্য বিভাগের মাসুম ভাই।
তখন মাসুম ভাইকে মিজান ভাই সান্ত্বনা দিয়েছিলেন, ‘প্রিয় মাসুম ভাই, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি আপনি দ্রুত সেরে উঠবেন।’ মাসুম ভাইসহ সবাই সেরে উঠলেনে। শুধু চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেলেন মিজান ভাই। আর কোনো দিন ক্যানটিন, ফ্লোর, লিফট, বোর্ডরুম, গোলরুম—কোথাও পাব না মিজান ভাইকে। সবকিছু আগের মতো হয়ে যাবে, শুধু থাকবেন না মিজান ভাই।
আলী রীয়াজ স্যারের লেখা থেকে পাওয়া দুটি কবিতার পঙ্‌ক্তি দিয়ে শেষ করতে চাই।
‘যেকোনো মানুষের মৃত্যু আমাকে ছোট করে, কেননা আমি মানবতার অংশ;/ আর তাই জিজ্ঞাসা কোরো না কার জন্য বাজছে ওই ঘণ্টাধ্বনি, সে বাজছে তোমার জন্য’।
‘যেকোনো মৃত্যুর মধ্যে আমি আমার মৃত্যুর বার্তা শুনতে পাই।’—জন ডান

‘ভুলিবো না—এত বড় স্পর্ধিত শপথে/ জীবন করে না ক্ষমা। তাই মিথ্যা অঙ্গীকার থাক।’—বুদ্ধদেব বসু। জীবনের এত আয়োজন, ব্যস্ততার এত উপকরণ চারদিকে, জীবনের স্বাভাবিকতা এতটাই নির্মম যে আমার প্রিয়জনকে বিস্মৃত হই, বন্ধুদের বিস্মৃত হই—আজ অথবা কাল—বুদ্ধদেব বসু।

বুদ্ধদেব বসুকে বলতে চাই, আমরা আজ অথবা কাল মিজান ভাইকে ভুলব না।


*লেখক: আশফাকুজ্জামান, কলাম লেখক, সাংবাদিক ও সংগঠক