মলাটে মোড়ানো নতুন বই

ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় শ্রেণি পেরিয়ে সবে তৃতীয় শ্রেণিতে উঠল আট বছরের ছোট্ট রুহী। বছরের শুরুতে হাতে পেয়েছে নতুন বই। তাই আজ পড়ার আগ্রহ গভীর হয়েছে তার। পড়ার টেবিলে বসে নেড়েচেড়ে দেখছিল নতুন বইগুলো। তবে নতুন বই হাতে পেয়ে বইয়ের পরিষ্কার কাগজ, ছাপ আর ছবিগুলোর দিকেই ছিল তার বেশি নজর। নতুন বই, কী আনন্দ তার মনে।

নতুন বছর, নতুন বই, নতুন মলাট! পাতায় পাতায় নতুন বইয়ের ঘ্রাণ। নতুন বইয়ের পাতায় সে এক অন্য রকম আনন্দ। শিশু-কিশোরদের মনে এ যেন এক বিরাট ‘অ্যাডভেঞ্চার’।

গত বছরের পুরোনো ক্যালেন্ডারের পাতা, পত্রিকা অথবা সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে তৈরি হতো সেই মলাট। নতুন বইয়ে নতুন মলাট। শুধু মলাট লাগালেই হতো না, তার ওপর সুন্দর করে নিজের নাম, স্কুলের নাম, শ্রেণি-রোল লেখা! কতই না স্মৃতিময় ছিল সেসব দিনগুলো।

ঢাকার বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চবিদালয়ের পঞ্চম শ্রেণির অনিন্দিতা রহমান মা–বাবার সঙ্গে গিয়েছিল নতুন বই আনতে। নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে সে জানায়, ‘আমি অনেক দিন পর স্কুলে গিয়েছি নতুন বই নিতে। বই হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে আমার। বান্ধবীদের কথা মনে পড়ছে। আমার ক্লাস টিচার আর অন্য ম্যাডামদের সঙ্গে দেখা করেছি। অনেক দিন পর স্কুলে এসে সবার সঙ্গে দেখা করে খুব ভালো লাগল। তবে করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় আমার বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা হয়নি। আমি আবার স্কুলে ফিরে যেতে চাই, বান্ধবীদের সঙ্গে একসঙ্গে ক্লাস করতে চাই, খেলা করতে চাই।’

ছবি: সংগৃহীত

অনিন্দিতা বলে, ‘করোনাভাইরাস এ পৃথিবী থেকে বিদায় হোক এবং আমরা আবার স্কুলে ফিরব এই আশায় রয়েছি। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন এই আশা সত্যি হয়।’

একই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির আজরা আফিফা বলে, ‘আজ আমি নতুন বই পেয়েছি। নতুন বই পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। আমার স্কুল অনেক ভালো। আমি স্কুলে যেতে চাই, আমার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে চাই।’

  • লেখক: বিনায়েক রহমান কীর্তি, শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ