চীনে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম, বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ

‘সবার অংশগ্রহণে পরিবেশ রক্ষা এবং সবুজ পৃথিবী গড়া’ এ প্রতিপাদ্যে চীনের চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফিন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স–এর লেই ফাং আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দল দিনব্যাপী একটি পরিবেশ সুরক্ষা সচেতনতা কার্যক্রম আয়োজন করেছে। রোববার নানছাং শহরের মেইলিং পর্বত পর্যটন এলাকায় পরিবেশ সুরক্ষা সচেতনতা কার্যক্রমটি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওভারসিজ এডুকেশন স্কুলের সার্বিক সহযোগিতায় লেই ফাং স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্যরা সেদিন বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পালন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবক এ পরিবেশ সুরক্ষা সচেতনতা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পরিবেশগত সুরক্ষা সচেতনতা উন্নত করা, পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রমে আরও বেশি লোককে অংশগ্রহণ ও পরিবেশ সুরক্ষা উন্নত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

কার্যক্রম চলাকালে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা স্থানীয় জনগণ ও পর্যটকদের কাছে পরিবেশ সংরক্ষণ সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করে, পর্যটন স্থান ও পাহাড় থেকে আবর্জনা সংগ্রহ এবং পরিষ্কার করে, গেম খেলে স্থানীয় লোকজন ও পর্যটকদের কাছে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করে। তা ছাড়া স্বেচ্ছাসেবকেরা পর্যটক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করে পরিবেশ রক্ষায় প্রাথমিক তথ্য অবহিত করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে লেই ফাং স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন গঠন করেন। তিনি বলেন, মানুষ হিসেবে সমাজের প্রতি প্রত্যেকেরই দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সবাই পৃথিবী নামের একটি পরিবারের সদস্য। এর অনেক সম্পদ বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, সম্পদগুলো বিভিন্ন দেশে মানব ক্রিয়া দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ একটি মূল বিষয় হয়ে উঠেছে। আমরা এখানে পরিবেশ রক্ষার জন্য মানুষকে সচেতন করতে এসেছি। স্থানীয় চীনা জনগণ এবং পর্যটকেরাও আমাদের কাজের প্রশংসা করেছেন এবং অংশগ্রহণ করেছেন।

লেই ফাং ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার টিম একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ‘ফর আ স্মাইল’–এ স্লোগান নিয়ে চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফিন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সে অধ্যয়নরত একদল উদ্যমী ও উৎসাহী তরুণের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক ও চীনা শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাত্রা হয়। এই স্বেচ্ছাসেবক দল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু, এতিম, বৃদ্ধ, পরিবেশ সুরক্ষা সচেতনতা, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে।