ইতালিতে ‘প্রাণে প্রাণ মেলাল’ বাঙালিরা

ছবি: লেখক

মহামারি করোনার ঢেউ কয়েক দফায় আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত করেছিল ইউরোপের দেশ ইতালিকে। এই ভাইরাসের ভয়াল থাবায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে ধাপে ধাপে দেওয়া হয় লকডাউন, বিধিনিষেধ, এমনকি জরুরি অবস্থাও জারি করে ইতালি সরকার।

জীবন স্থবির হয়ে উঠেছিল ইতালিবাসীর। চারদিকে শূন্যতা, কোথাও কেউ নেই। এ যেন এক মৃত্যুনগরী। ইতালির রাস্তায় সারি সারি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের হর্ন সারা বিশ্বকে কাঁপিয়েছিল।

তবে বর্তমানে ইতালিতে করোনা অনেকটাই স্বাভাবিক। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমতে থাকায় ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হয় লকডাউন ও বিধিনিষেধ। প্রাণে প্রাণ ফিরে স্বাভাবিক ছন্দে আসে জনজীবনে। আবার চিরচেনা রাস্তাঘাট, পার্ক, দর্শনীয় স্থান, বার- রেস্তোরাঁ মানুষের কোলাহলে ভরপুর হয়ে ওঠে।

এই দিকে দীর্ঘদিন করোনার কারণে ইতালিতে বন্ধ ছিল প্রবাসীদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড। দেশটিতে লকডাউন ও বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় ইতালির ভেসেন্সা অঞ্চলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক দিন পর মিলনমেলার আয়োজন করেন। ১৭ জুলাই ভেসেন্সা অঞ্চলের স্থানীয় একটি খোলা মাঠে প্রবাসীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ভেসেন্সা অঞ্চলে বসবাসরত সব প্রবাসী বাঙালি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে নারী ও শিশুরা নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি করেন। অনুষ্ঠানে গ্রিল পার্টিসহ নানা রকম মুখরোচক খাবার পরিবেশন করেন মোহাম্মদ সিদ্দিক হাওলাদার।

প্রবাসীদের এই মিলনমেলা যেন ভিন্ন দেশেও একখণ্ড বাংলাদেশ। তাঁরা বলেন, ‘আমাদের এই আয়োজন মূলত এই এলাকায় বসবাসরত সব বাঙালিকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ করা। আমরা যেন সব সময় একে অপরের কাছাকাছি, পাশাপাশি থাকতে পারি।’ অনেক দিন পর এমন মিলনমেলার আয়োজন করতে পেরে স্বস্তি বোধ করছেন তাঁরা।

প্রাণে প্রাণ মেলানোর এই মিলনমেলা আয়োজনে উদ্যোক্তা ছিলেন ফেরদৌস আক্তার, লায়লা আক্তার রুমি। অনুষ্ঠান পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করেছেন নুসরাত জাহান এ্যানি,আফ্রিন সুলতানা সুখি, আয়েশা আক্তার, নাসরিন আক্তার, জ্যোতি প্রমুখ।