নিকলাসের দিন-রাত্রি
ফেব্রুয়ারির এক অন্ধকার বিকেল।
হাতে এক পেগ রাম নিয়ে নিকলাস রডমান অ্যাপার্টমেন্টের বেলকনিতে বসে কাচের জানালা দিয়ে বাইরের তাকিয়ে ছিল। নিকলাসের অ্যাপার্টমেন্ট ছয়তালায়, ঘরের ভেতর লাইট নেভানো। ওপর থেকে আশপাশের অ্যাপার্টমেন্টগুলো সে ভালোই দেখতে পাচ্ছিল, তবে বাইরে থেকে কেউ তাকে দেখতে পাচ্ছিল না। কোনো কোনো অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরের আলো জ্বালানো, জানালার পর্দা ফেলা, কোনোটির নেই, কোনোটির–বা আলো আছে কিন্তু পর্দা ফেলা নেই।
শহরের উপকণ্ঠে ছয়টি সুউচ্চ ভবন নিয়ে ছোট এক আবাসিক এলাকা।
উপকণ্ঠে হওয়ায় গাড়িঘোড়ার চলাচল হই চই নেই। নিরিবিলি বলেই নিকলাস এদিকটায় চলে এসেছে। কাছেই একটি স্কুলের সিকিউরিটি প্রধান। অ্যাপার্টমেন্ট থেকে কর্মস্থল খুব দূর নয়। চাকরিটা যে নিকলাসের খুব ভালো লাগে, তা নয়, তবে সয়ে গেছে। ইচ্ছে ছিল ডাক্তার হবে, কিন্তু ভালো ফলাফল না হওয়ায় ডাক্তারি পড়া হয়নি। মানানসই ফলাফল নিয়ে পোল্যান্ড থেকেও ডাক্তারি পড়ে আসতে পারত, কিন্তু সেটিও হয়নি। তাই স্কুল থেকে বের হয়ে সিকিউরিটির চাকরি নিয়ে পড়ে আছে। বয়স দেখতে দেখতে ৩০ হয়ে গেল, ডাক্তার হওয়ার নিরাশা থেকে গার্লফ্রেন্ডও হয়নি।
অন্ধকারে রামের গ্লাসে ছোট ছোট চুমুকে ভেতরটা ভরে যায়। একটি জানালায় দেখা যায় বাবা তাঁর ছেলেকে কিছু বোঝাচ্ছেন। আর একটিতে দুই নারী উঁচু গলায় কথা বলছেন। আরেক অ্যাপার্টমেন্টের ছোট এক রান্না ঘর, কেউ রাতের রান্না করছে। একটি মেয়ে রান্না ঘরের এদিক হতে ওদিকে ছুটে গেল। আবার ফিরে এল, হাতে একটি গ্লাস, মাঝেমধ্যেই কী যেন পান করছে। হয়তো নিকলাসের মতো রাম বা হুইস্কি হবে। মেয়েটি নিজের মনেই হাতের গ্লাসটি নাড়িয়ে নাড়িয়ে কথা বলছে। নিকলাস কথাগুলো শুনতে পায় না, তবে ঠোঁট নাড়া দেখে বোঝে কিছু একটা বলছে। হঠাৎ কাঁপতে কাঁপতে মেয়েটি মেঝের ওপর পড়ে যায়।
ভয়ে–আতঙ্কে নিকলাস উঠে দাঁড়ায়, না রান্না ঘরের মেঝে দেখা যাচ্ছে না, তবে মেয়েটি মেঝেতে পড়ে আছে। এক মিনিট, দুই মিনিট যেন অনন্ত যুগ নিকলাস তাকিয়ে আছে। ধীরে ধীরে মেয়েটি উঠে দাঁড়ায়। শরীরের কাঁপুনি কমেছে, হাতের গ্লাসটা মনে হয় ভেঙ্গে গেছে, আর একটি নতুন গ্লাসে পানীয় ঢেলে নেয় মেয়েটি। মেয়েটি কি নিকলাসের মতো রাম পান করছে, নাকি স্ট্রং কিছু?
এমনি এক সন্ধ্যায় এ আবাসিক এলাকায় মর্মান্তিক এক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। বসন্তের এক সন্ধ্যা। ঘরের আলো নিভিয়ে বেলকনিতে যথারীতি গ্লাস হাতে বসেছিল নিকলাস। মৃদু হাওয়ায় বন্য গোলাপের সুবাস আসছে। কমিউন থেকেই প্রতিটি ভবনের নিচে সারি সারি বন্য গোলাপের বাগান তৈরি করে দিয়েছে। কমিউনের লোকেরাই পরিচর্যা করে। সার দেওয়া, গাছের পাতা সরানো, মাটি খুঁড়ে গাছের গোড়া পরিষ্কার করা ওরাই করে।
বন্য গোলাপের কাঁটায় শুকনো ডাল খুবই যন্ত্রণাদায়ক। সে জন্য আশপাশের বেড়াল–কুকুর ওই গাছের কাছে যায় না। এই আবাসিক এলাকারই একজন পাঁচ তালার ওপর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বন্য গোলাপ গাছগুলোর ওপর। কেন ঝাপিয়ে পড়েছিলেন, সে এক রহস্য, স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল কি না, সেও এক রহস্য, তবে ভদ্রলোক মৃত্যুকে উপেক্ষা করতে পারেননি, গোলাপের শুকনা ডাল ফুসফুস ভেদ করে চলে গিয়েছিল।
নিকলাস খোলা জানালা দিয়ে মেয়েটিকে অনুসরণ করে। মেয়েটি আগের মতোই এ ঘর থেকে ও ঘরে দৌড়ে যায়, হাতে পানীয়ের গ্লাস। বিড় বিড় করে কী বলছে, শোনা যায় না। নিকলাসের মনে পড়ে সম্ভবত এই মেয়েটিকে গত জুলাইয়ের প্রচণ্ড রোদে সূর্যস্নান করতে দেখে থাকবে। সে সময় নিকলাসের সামারের ছুটি চলছে। অফিসের তাড়া নেই, বাইরে বেড়াতে যাওয়ার প্রোগ্রামও নেই।
তাই নিকলাস আস্তেধীরে দুপুর ১২টায় ঘুম থেকে উঠে জুসের গ্লাস হাতে নিয়ে জানালার ধারে বসেছিল। আবাসিক এলাকার মধ্যে অনেকখানি জায়গা নিয়ে ফুটবল মাঠ। সবুজ ঘাসের গালিচা। মাঠ ঘিরে বার্চের গাছ লাগানো। বার্চের পাতাগুলো বাতাসের সঙ্গে খেলা করছে। ফুটবল মাঠে ফুটবল খেলা নেই, তবে অনেকেই সূর্যস্নান করছেন, কেউবা পুরো পরিবার নিয়ে দুপুরের লাঞ্চ সেরে নিচ্ছেন। কয়েকটি পোষা কুকুর খেলা করছে, কাকজাতীয় পাখিরা মাঠে নেমে এসেছে। তখনি নিকলাসের চোখ আটকে যায়।
মাঠের এক কোনে সবুজ ঘাসের ওপর একটি সাদা তোয়ালে। তোয়ালের ওপর শুয়ে একটি মেয়ে। রোদের আলোয় সারা দেহ চক চক করছে। হয়তো রোদ–রক্ষণ ক্রিম লাগিয়ে থাকবে। সুইমিং কস্টিউম, কালো গগলস, বুকের পাশে দুহাতে চোখের সম্মুখে মেলে ধরা বই। রোদ পোহানোর একই চিত্র সর্বত্র।
আসলে কি ওরা বই পড়ে, নাকি ভান করে নিজেকে ব্যস্ত রাখে? নিকলাসের দৃষ্টি আটকে যায় মেয়েটির দুটি সুগঠিত পায়ে। সাদাশুভ্র দুটি পা মেদের চিহ্ন নেই। হয় মেয়েটি জিমে যায়, নতুবা ফ্লোরে দীর্ঘ সময় নৃত্য করে। মেয়েটির সঙ্গে আলাপের ইচ্ছে জাগে নিকলাসের। কিন্তু সাহস হয় না। না পারাটাই অনেক পিছিয়ে রেখেছে নিকলাসকে।
রাত ঘনিয়ে এসেছে। প্রতিবেশীর রান্না ঘরের আলো নিভে গেছে। হাতের গ্লাসটি ডিসব্যাঙ্কের ওপর নামিয়ে শুয়ে পড়ে নিকলাস। ভোরে ঘুম ভাঙে ধুপ করে কিছু পড়ার শব্দে। শব্দটা বাইরে থেকে এসেছে। জানালার পর্দা সরায় নিকলাস। চারদিক শুধু সাদা আর সাদা। সারা রাত তুষার ঝড় হয়েছে।
বার্চগুলোর মাথা ছেয়ে গেছে বরফে। গাছের মাথা থেকে বরফ পড়ার ফলেই শব্দটা হয়েছে। কীভাবে অফিসে যাবে নিকলাস, সেটাই ভাবছে, কিন্তু যেতে তো হবে। রেইন ডিয়ারের মোটা চামড়ার কোটটা গায়ে চাপিয়ে বেরিয়ে পড়ে। কালো চামড়ার টুপিটা মাথায় চাপিয়ে নেয়, ঝির ঝির করে স্নো¯পড়ছে।
অফিস থেকে ফিরতে দেরি হয়ে গেল। স্নো বন্ধ হয়নি। শীতের সন্ধ্যা। সূর্য দেখা দিয়েই ডুবে গেছে অনেক আগে। রাস্তাঘাট বরফে ঢেকে গেছেই দেখে গাড়ি নিয়ে বের হয়নি।
বরফ মাড়িয়েই ঘরে ফিরছিলো। ঠান্ডা হাওয়া বইছে। মাঝে মধ্যেই উত্তরের শীতল হাওয়া এদিকটায় চলে আসে। বাড়ির কাছাকাছি আসতেই এক আর্তনাদ শুনতে পায়। শব্দের উৎসের দিকে দ্রুত এগিয়ে যায় নিকলাস।
বরফের পা ফেলে দ্রুত এগুনোও যায় না। বরফের একটা ঢিপি পার হয়েই দেখতে পায় কেউ একজন কাত হয়ে ওপরে পড়ে আছে। মাথাটা অনেক টুক বরফের ভেতর, পা দুটি দুদিকে ছড়ানো। নিকলাস দ্রুতই দুহাতে কোলে উঠিয়ে নেয়। মেয়েটিকে জ্ঞান হারিয়ে?
চোখ–মুখ ঢেকে গেছে বরফে। নিকলাস মুখের ওপর বরফগুলো হাত দিয়ে দ্রুতই ফেলে দেয়। ছোট একটা ঝাঁকি দিয়ে প্রশ্ন করে, ব্যথা পেয়েছ? মেয়েটি গোঙাতে গোঙাতে বলে, ডান পায়ে বেশ ব্যথা। নিকলাস পায়ে ম্যাসেজ দিয়ে বলে, হাঁটতে পারবে? এক পায়ের ওপর ভর করে দাঁড়ায় মেয়েটি। এক হাত দিয়ে নিকলাসের কোট আঁকড়ে ধরে। ডান পা ঝাঁকি দিয়ে বলে, মনে হয় পারব। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে মেয়েটি। নিকলাস বলে, মনে হয় না তোমার হাড় ভেঙেছে, তবে মচকে গেছে।
মেয়েটিকে তার অ্যাপার্টমেন্ট পর্যন্ত নিয়ে আসতে সাহায্য করে নিকলাস, এই অ্যাপার্টমেন্ট তোমার? তাহলে তো আমরা প্রতিবেশী। পকেটে হাত দিয়ে চাবি বের করে দরজা খোলে মেয়েটি। দরজায় নেম প্লেটে লেখা সোফিয়া।
নিকলাস ড্রইং রুমের কাউচে বসিয়ে দেয় সোফিয়াকে। ঘরের কোন থেকে একটা টুল নিয়ে এসে টুলের ওপর সোফিয়ার পা রাখতে সাহায্য করে। জুতা–মোজা খোলার পর দেখা যায় পায়ের গোড়ালি লাল হয়ে আছে। ভালো করে পরীক্ষা করে বলে, তোমায় রেস্ট নিতে হবে, পা সেরে যাবে দু–একদিনের মধ্যেই। ভাঙলে তো হাসপাতালে যেতে হতো।
ঘরে কি এলভিডন আছে? সোফিয়া কিচেনের তাক দেখিয়ে দেয়। এলভিডনের সঙ্গে নিকলাস ফ্রিজ থেকে কয়েক টুকরা বরফ কাপড়ে জড়িয়ে সোফিয়ার পায়ে বেঁধে দেয়। এলভিডন খেয়ে শুয়ে পড়, সঙ্গে ইপ্রিনও খেয়ে নিয়ো। সকালের ভেতর অনেকটা ভালো হয়ে উঠবে। আর হ্যাঁ, কোনো অসুবিধে হলে কল দিয়ো। আমি চলি, বলে নিকলাস ওর মোবাইল নম্বরটি কাগজে লিখে দিয়ে দরজা টেনে বেড়িয়ে যায়।
কাল অফিসে যেতে হবে না। শনি ও রবি দুই দিন বন্ধ। এই দুদিনে মেয়েটি হয়তো সেরে উঠবে। খুব একটা উৎকণ্ঠিত নয় নিকলাস, তবে পায়ে পরিপাটি করে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া দেখে মেয়েটি হয়তো তাকে ডাক্তার ভেবে থাকবে।
ভুল ধারনাটা ভাঙাতে হবে। এভাবেই সপ্তাহ গড়ায়। কোনো কোনো সন্ধ্যায় জানালা দিয়ে সোফিয়াকে দেখে। ঐ আগের মতোই এক ঘর থেকে অন্য ঘরে ছুটে যায় মেয়েটি, হাতে পানীয়ের গ্লাস, বিড় বিড় করে কিছু বলে। সোফিয়া টেলিফোন করেনি, নিকলাসও খোঁজ না নিলেও বাড়ি ফেরার পথে এক সন্ধ্যায় দেখা হয়ে যায়।
নিকলাস এগিয়ে গিয়ে জানতে চায়, পায়ের অবস্থা কেমন? হ্যাঁ, আগের চেয়ে অনেক ভালো, সেদিন অনেক সাহায্য করেছো তুমি, সোফিয়া বলে। ‘আমিতো প্রতিবেশী হিসেবেই করেছি’, উত্তর দেয় নিকলাস। ‘তবুও ধন্যবাদ জানিয়ে তোমায় ফোন করা প্রয়োজন ছিল’, লজ্জা পেয়ে বলে সোফিয়া। নিকলাস উত্তর দেয় না, সোফিয়ার চোখে সংশয়। সংশয় কাটিয়ে বলে,‘আজ সন্ধ্যায় কি ডিনার করতে আসবে? ফেরার পথে বাজার করে এনেছি, দুই ঘণ্টা পর এসো।’ বাজার করা প্যাকেটগুলো দেখায় সোফিয়া, ‘তুমি জানো কোথায় থাকি আমি।’
ডিনারের আমন্ত্রণ পেয়ে খুব অভিভূত হয় নিকলাস। এর আগে কোনো মেয়ে ডিনারে আমন্ত্রণ জানায়নি। ঘরে ফিরে দীর্ঘক্ষণ গোসল করার পর জিন্সের প্যান্ট, শার্ট ও হালকা রঙের কোট ও হালকা পারফিউম লাগিয়ে বের হয় নিকলাস। পথে দোকান থেকে লাল গোলাপের তোড়া ও এক বোতল ওয়াইন কিনে নেয়। খালি হাতে তো যাওয়া যায় না। সোফিয়ার অ্যাপার্টমেন্টের দরজায় বেল বাজাতেই দরজা খুলে দিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সোফিয়া।
—তোমাকে খুব স্মার্ট দেখাচ্ছে। হালকা ঘাম দেখা দেয় নিকলাসের কপালে।
—তোমাকেও চমৎকার লাগছে। কালচে লাল রঙের গাউন পরেছে সোফিয়া। সোফিয়ার
হাতে গোলাপের তোড়া ও ওয়াইনের বোতল তুলে দেয় নিকলাস।
সোফিয়া খুব যত্নœকরে টেবিল সাজিয়েছে। রুটি, রসুন দেয়া বাগেট, বড় চিংড়ি, ভুট্টা মেশানো লেটুস পাতার সালাদ, বাটার আর আলুর কারি। মুগ্ধ চোখে তাকায় নিকলাস। তুমি কি পানি নেবে, নাকি ওয়াইন? প্রশ্ন করে সোফিয়া।
—এক গ্লাস ওয়াইনই ভালো হবে, গলা খাকারি দেয় নিকলাস। নিজেকে তৈরি করে কিছু বলতে চায়, আমি কিন্তু ডাক্তার নই, ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখেছি, তবে হতে পারিনি। পাশের স্কুলে সিকিউরিটির দায়িত্বে আছি। শঙ্কায় মুখ তুলতে পারে না নিকলাস, হয়তো আশা ভঙ্গ হয়ে রেগে গেছে সোফিয়া।
ছোট্ট হাসি শুনতে পায় নিকলাস, ‘ও হো, ন্যাপকিন দিতে ভুলে গেছি, ন্যাপকিন ছাড়াতো চিংড়ি খাওয়া যাবে না। জামাকাপড়ে দাগ লেগে যেতে পারে’, বলে সোফিয়া। আমার ও এক স্বপ্ন, অভিনেত্রী হব। থিয়েটার স্কুলে যাব। তাইতো প্রতি সন্ধ্যায় রোমিও জুলিয়েটের একটি দৃশ্যের রিহার্সাল দিতে দিতে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে ছুটে যাই। খুব শিগগিরই আমার স্ক্রিন টেস্ট। তবে এক দোকানে ক্যাশিয়ারের কাজে আছি।’
—তাইতো তোমায় দেখি গ্লাস হাতে একঘর থেকে অন্য ঘরে ছুটে যেতে।
—আমায় দেখো নাকি ? লজ্জা পায় সোফিয়া।
—হ্যাঁ, আমার বেলকনি থেকে তোমার কিচেনের জানালা দেখা যায়। নিকলাসের গ্লাসে ওয়াইন ঢেলে দেয় সোফিয়া।
ডিনার শেষে বিদায় জানাতে নিকলাসের বাঁ হাত তুলে নেয় সোফিয়া। নিকলাস ওর কপালে ছোট্ট চুমু দিয়ে আবার দেখা করার অঙ্গীকার নিয়ে ঘরে ফেরে। এক পেগ ওয়াইন হাতে বেলকনিতে এসে বসে। রাস্তার ওপারে তাকায়। সোফিয়ার জানালায় পর্দা ফেলানো। জানে, পর্দার আড়ালেই আছে ও।
সুইডিশ লেখক Johan Werkmaster এর Grannen গল্পের ছায়া অবলম্বনে।
এলভিডন ও ইপ্রিন , বেদনা নাশক ঔষধ।