স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে কোপেনহেগেনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ

কোপেনহেগেনের বাংলাদেশ একাদশ ও স্থানীয় ফুটবল দল ‘ইশয় আইএফ’-এর মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

গতকাল রোববার কোপেনহেগেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ একাদশ ও স্থানীয় ফুটবল দল ‘ইশয় আইএফ’-এর মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে কোপেনহেগেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে। তিন শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি খেলাটি উপভোগ করতে সপরিবারে মাঠে আসেন। সেই সঙ্গে অনেক ডেনিশ দর্শক মাঠে ছিল। অনুষ্ঠিত এই খেলায় ‘ইশয় আইএফ’ ৬-৪ গোলে জয়লাভ করে।

খেলায় ‘ইশয় আইএফ’ ৬-৪ গোলে জয়লাভ করে।
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইশয় টাউনের মেয়র ওলে বিয়োরস্টপ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘ইশয় আইএফ’ ফুটবল ক্লাবের সভাপতি। এ ছাড়া কোপেনহেগেনের বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকেরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার বিতরণীতে ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, ‘এ বছর আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জাতির জনকের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি।’ তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে যেসব শহীদ দেশের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এরপর তিনি উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঠে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১–এর লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে একটি উন্নত, সমৃদ্ধিশালী ও কল্যাণকর রাষ্ট্রগঠনে সবাইকে অবদান রাখতে উদাত্ত আহ্বান জানান। চমৎকার ফুটবল ম্যাচের জন্য উভয় দলের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান তিনি।

খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

প্রধান অতিথি ইশয় টাউনের মেয়র তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের ক্রীড়া উদ্যোগের মাধ্যমে ডেনিশ ও বাংলাদেশি জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন বৃদ্ধি পাবে এবং পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময় ঘটবে। তিনি এ ধরনের উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান। দূতাবাসের আয়োজনে সান্ধ্যভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে। বিজ্ঞপ্তি