ভ্রমণকন্যার নয়া প্রকল্প চালু

ছবি: সংগৃহীত

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ-ভ্রমণকন্যার নতুন প্রজেক্ট ‘জেন্ডার ইকুইটি অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রাম’ যাত্রা শুরু করেছে। এটি ভ্রমণকন্যার অন্যতম সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রকল্প।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদের প্রকল্প নারীর চোখে বাংলাদেশের বর্ধিত কার্যক্রম হিসেবে এটির যাত্রা শুরু হয়। সংগঠনটির ফেসবুক পেজ থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি লাইভ সম্প্রচারিত হয়।

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। একই সঙ্গে ৬৪ জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা এবং ১৬টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা যুক্ত ছিলেন।
জাতীয় সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরিচিতি পর্বে উপস্থিত সবার উদ্দেশে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা, ভ্রমণকন্যার প্রতিষ্ঠাতাদ্বয়, উপদেষ্টা ও বিভাগীয় ভলান্টিয়ার প্রধানদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর প্রতিষ্ঠানটির যৌথ প্রতিষ্ঠাতা মানসী সাহা ও সাকিয়া হক বিদ্যালয় কর্মসূচিতে যেসব বিষয় বাচ্চাদের সঙ্গে আলোচনা হবে, তার মডিউল নিয়ে সবার উদ্দেশে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। শিক্ষামন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষা অধিদপ্তর, সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশে ট্রাভেলেটসের এই চমৎকার কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তার আহ্বান জানান।

প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম উপদেষ্টা জালাল আহমেদের শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার এ আয়োজনে সবার আন্তরিকতা ও প্রশংসনীয় কর্মযজ্ঞের খেতাব নিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির যৌথ প্রতিষ্ঠাতা মানসী সাহা ও সাকিয়া হক বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা জেন্ডার ইকুইটি অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রামের কর্মসূচি শুরু করব। এরপর করোনা–পরবর্তী কার্যক্রমগুলো বিদ্যালয় খোলার পর শুরু হবে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ২৩ হাজারের বেশি স্কুলগামী মেয়ের সঙ্গে ওয়ার্কশপ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ, প্রজননস্বাস্থ্য সুরক্ষা, আত্মরক্ষার কৌশল এবং খাদ্য-পুষ্টির মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।

এবারের বর্ধিত কার্যক্রমে বাল্যবিবাহ, মাদক, সড়কনিরাপত্তার বিষয়গুলো যুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটি পাঁচ বছরব্যাপী কর্মসূচি পরিচালনা করবে। এর আওতায় সারা দেশে প্রায় ৫০০টি বিদ্যালয়ে আড়াই লাখ শিক্ষার্থীকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানানো হবে।
সংগঠনটি যাত্রার শুরু থেকেই দেশব্যাপী ব্যাপক সাড়া ও প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে দেশে-বিদেশে বিশেষভাবে পুরস্কৃত হয়েছে৷ এর মধ্য অন্যতম ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০১৮’, ‘Zafigo অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ (Malaysia)’, ‘Youth Excellence Award-2019’, ‘The Diana Award-2020’, ‘ভোরের কাগজ নারী সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড’, ‘Zonta Centennial Recognition Award’ ‘Acumen Fellowship Award 2021’।