বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড পেলেন হাবিপ্রবির শিক্ষক হাসানুর রহমান

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাসানুর রহমান পেয়েছন বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড-২০২১
ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাসানুর রহমান পেয়েছন বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড-২০২১। তিনি জাপানের টোকিও মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. তাকাসী ওকামোতোর অধীনে ২০১৯ সালে সফলভাবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

হাসানুর রহমান ২০১৯ সালে ‘প্ল্যান্ট অ্যান্ড সেল ফিজিওলজি’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্রটির জন্য ‘দ্য জাপানিজ সোসাইটি অব প্ল্যান্ট ফিজিওলজিস্ট’ কর্তৃক বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড-২০২১ সম্মাননা পান। গবেষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু ছিল উদ্ভিদের ভ্রূণ উৎপাদনে প্যারেন্টাল জিনের অবদান আবিষ্কার। এটি কোষ লেভেলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্যারেন্টাল জিনের অবদান নিয়ে প্রথম গবেষণা, যা উদ্ভিদের ডেভেলপমেন্ট, উৎপাদন বৃদ্ধি, রোগ নিরূপণ এবং প্রজননের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।

দ্য জাপানিজ সোসাইটি অব প্ল্যান্ট ফিজিওলজিস্ট (জাপানের উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের সংগঠন) সংগঠনটি ১৯৫৯ সালে যাত্রা শুরু করে। প্ল্যান্ট অ্যান্ড সেল ফিজিওলজি জার্নালে গবেষণাটি ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় এবং যাচাই–বাছাই শেষে ২০২১ সালে বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড-২০২১ হিসেবে মনোনীত করে। সংগঠনটি তার অফিশিয়াল পেজ থেকে জানায়, অ্যাওয়ার্ড উইনারকে একটি সম্মাননা সনদ এবং দুই লাখ জাপানিজ ইয়েন দেওয়া হয়েছে।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কাবিলপুর গ্রামে ১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহন করেন হাসানুর রহমান। উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের এই সহযোগী অধ্যাপক জানান, ‘আমি আনন্দিত, এটি আগামীতে আমাকে আরও ভালো গবেষণা করতে অনুপ্রাণিত করবে।’ সেই সঙ্গে গবেষণার পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি জানান, বর্তমানে তিনি নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য উৎপাদন নিয়ে কাজ করছেন। এ ছাড়া গবেষণা ফান্ড পেলে আইভিএফ পদ্ধতিতে জিন শনাক্ত ও কার্যকারিতা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বন্যা–খরাসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন বিষয়ে গবেষণা করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।