চল যাই সমুদ্রসৈকত

আমি বাংলাদেশের এক সাধারণ মেয়ে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ‘সাধারণ মেয়ে’র মতো সাধারণ। প্রতিদিন আমরা চলার পথে নানান দৃশ্য দেখি, কখনো কখনো কোনো দৃশ্য মনের গভীরে দাগ কেটে যায়। আবার কোনো সংবাদ মনের মধ্যে অসাধারণ দৃশ্যের অবতারণা করে। মনের কথা বলার ও লেখার অধিকার সবার। সেই থেকেই দৃশ্যপট।
প্রথম আলো ফাইল ছবি

সবুজ চট্টলা হতে সমুদ্রের আহ্বান
সবুজ চট্টলা হতে পাহাড়ের আবেদন
সবুজ চট্টলায় রয়েছে আমার মনবীথি
ফিরে ফিরে দেখি তোমায়
সবুজ চট্টলা,
অঝোর বৃষ্টির দিনে তোমার পথহারা বর্ণিল রূপ
অঝোর বৃষ্টির পাহাড়ের জলের ঢলে বনজ রূপ
অঝোর বৃষ্টির দিনে নিভৃত নির্জনে অচেনা পাখির ডাকে
নিস্তব্ধ দুপুর।

ফিরে ফিরে দেখি তোমায়
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ধান দেব মেপে, রিমঝিম বৃষ্টি
বোন আর আমি বিধুর বিজন পাহাড়ে রেখেছি পা,
কাকলির উন্মুক্ত দুয়ার পূর্ণ ছিল কলকাকলিতে

কাকলি আর সমুদ্রসৈকতে বালুর চিত্ররেখা
কাকলি আর নীলিমার নীলে বুনোহাঁসের বলাকা,
কাকলি আর স্বাধীনতার মুক্তিসংগ্রামের রক্তাক্ত যুদ্ধ।
ফিরে ফিরে দেখি তোমায়
নিস্তব্ধ দুপুর
পাহাড়তলির এঁকেবেঁকে সবুজ পথে পড়ন্ত রোদ,
পাহাড়তলির চূড়া হতে উচ্ছল কর্ণফুলীর খরস্রোত
পাহাড়তলির বিজন বনের মর্মরে শহীদ প্রাণের ক্রন্দন।

কর্ণফুলীর উচ্ছল উন্মত্ত উর্বশী মিলায় সমুদ্রতটে
কর্ণফুলীর ঢেউয়ের দোলায় নৌযানের পালের বাহার
কর্ণফুলীর অজানা দোলায় দোল, সমুদ্রের ঢেউয়ের পরে ঢেউ

সবুজ চট্টলা উত্তাল, শহরের মোড়ে মোড়ে মানুষের উদ্বেগ
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের পরে ঢেউ, সোয়াত করেছে নোঙর।

কর্ণফুলীর উত্তাল নিকষ রাত্রির শরীরে জোয়ার-ভাটা,
কর্ণফুলীর উত্তাল ঢেউয়ে অমাবস্যার রাত্রিতে মৃত্যুঞ্জয়ী
নির্ভীক একদল যুবক।
ফিরে ফিরে দেখি তোমাকে
সবুজ চট্টলা।