যানবাহনে ডাস্টবিন চাই

বাসে বাড়ি ফিরছিলাম। জানালার পাশে বসায় এক সিনিয়র ভাই হাতে কলার খোসা ধরিয়ে দিয়ে ফেলে দিতে বললেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘ভাই, রাস্তায় ফেলা কী উচিত হবে?’ ভাই বললেন, ‘বাসে তো ফেলার জায়গা নেই। বাইরেই ফেলে দাও, বাংলাদেশটাই তো ডাস্টবিন।’ তবে বাসে ঝুড়ি বা ডাস্টবিন থাকলে হয়তো কলার খোসাটি বাইরে ফেলতে বলতো না।

বাংলাদেশে দূরপাল্লায় যাতায়াতের সবচেয়ে বড় মাধ্যম বাস ও ট্রেন। দেশের সিংহভাগ মানুষ এই দুই যানই ব্যবহার করে থাকেন। বাসে বা ট্রেনে যাওয়ার সময় অনেকেই শুকনা খাবার, চিপস, বিস্কুট, পানীয়সহ বিভিন্ন সামগ্রী কেনেন। এ ছাড়া বাস বা ট্রেনে হকার, ঝালমুড়ি, বাদাম, পেয়ারা, পানীয়সহ বিভিন্ন বিক্রেতা উঠে পড়েন।

যাত্রীরা তাঁদের থেকে খাবার কেনার সময় তাঁরা পলিথিন কিংবা কাগজের ঠোঙ্গা দিয়ে থাকেন। যাত্রীরা খাবার খাওয়ার পর পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, বিস্কুটের প্যাকেট, ঠোঙ্গাসহ বিভিন্ন আবর্জনা বাসে বা ট্রেনের ভেতরে ফেলেন। এতে সেগুলো অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

এ ছাড়া কিছু বাস ও ট্রেনে আবর্জনা ভেতরে ফেলতে নিষেধ করা হয়। ফলে আবর্জনা অনেকেই জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দেন। এতে রাস্তাঘাট নোংরাসহ পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ে। তাই এসব যানবাহনে আবর্জনা ফেলার জন্য ডাস্টবিন বা ঝুড়ি স্থাপন করা অপরিহার্য। এতে যেমন যানবাহনগুলো পরিচ্ছন্ন থাকবে তেমনি পরিবেশও কিছুটা হলেও দূষণমুক্ত হবে। বিষয়টি আমলে নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

লেখক, শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।