শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন

সামাজিক দূরত্ব মেনে করাচির একটি স্কুলে চলে ক্লাস
ছবি: রয়টার্স

আমার বন্ধু সাজু। একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। আমাদের সেশন একই। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম করোনার মধ্যেও চলমান। সে অনার্স শেষ করে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আবেদন এবং অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু একই সেশনের আমি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কারণে এখন অনার্স শেষ করাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনলাইন কার্যক্রম চালুর কথা থাকলেও কোনো কার্যক্রমই চলছে না।

বর্তমানে দেশের প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই অবস্থা বিরাজমান। এ অবস্থায় আমাদের প্রতিষ্ঠান খুলে না দেওয়ায় দেশের সব চাকরির পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। যেখানে দেশের অভ্যন্তরে প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজমান, হাটবাজার, শহর-বন্দর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত সবখানে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান, সেখানে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন?

আমরা স্কুল–কলেজের ভর্তি কার্যক্রমে উপচেপড়া ভিড় দেখছি। শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে তাদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার জন্য স্কুল-কলেজে ভিড় করছে। চাকরির ফরম ওঠানোর জন্য চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা ভিড় করছে। এত কিছু চলার পরও করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায়নি।

সুতরাং, অন্য সবকিছুর মতো স্বাভাবিকতা চাই শিক্ষাঙ্গনেও। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় দৃষ্টি দেবে বলে আশা করছি। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ শিক্ষা কার্যক্রমের কর্তাব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

লেখক: মশিউর রহমান, শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]